তানোরের কলমা ইউপির উদ্দোক্তা আদিবাসী চিরঞ্জিতের উপর মেম্বারের হামলা

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দোক্তা চিরঞ্জিত হাসদার উপর ওয়ার্ড সদস্য নাজিম উদ্দিন ওরফে ঘোড়া আলা হামলা করে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার শেষ বিকেলের দিকে মেম্বার নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে ঘটে হামলা মারধরের ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে,সেই সাথে দরগাডাংগা বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়েছেন। ফলে একজন জনপ্রতিনিধির এমন কর্মকান্ডে চরম ক্ষুব্ধ ইউপি বাসী। জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা চিরঞ্জিত হাসদা প্রতি দিনের মত সোমবার পরিষদ থেকে কাজ শেষে মাগরিবের নামাজারের আগ মুহুর্ত্বে পরিষদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে চকপ্রভুরাম গ্রামে যাওয়ার পথে দরগাডাঙ্গা বাজার পার হলে ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নাজিম উদ্দিনের বাড়ির সামনে পৌছা মাত্রই বাইক থামিয়ে দেওওয়া হয়। থামানোর পর মেম্বার ১৫ টাকা কেজির চালের তালিকার নাম কেন কাটা হয়েছে বলে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা চিরঞ্জিতকে উদ্ধার করেন। হামলার স্বীকার চিরঞ্জিত জানান, আমি ও আরেক উদ্দোক্তা জহুরুল মটরসাইকেল নিয়ে আমাকে বাড়িতে পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য রওনা হয়। মেম্বার নাজিমের বাড়ির সামনে আসামাত্রই বাইক আটকিয়ে তালিকার নাম কেন কাটা হয়েছে বলে মারপিট শুরু করেন। আমি শুধু তাকে বলেছি আমি নাম কাটা না কাটার কেউ না। আমি হুকুমের গোলাম। আমাকে না বলে এসব চেয়ারম্যান কে বলবেন একথা বলার সাথে সাথে জাত তুলে গালমন্দ মারপিট করে ল্যাবটবের ব্যাগ ছিড়ে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন মেম্বার। আমি ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান কে অবহিত করেছি। মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। জহুরুল জানান, আমি বাইক চালাচ্ছিলাম, এভাবে অতর্কিত ভাবে মারা হয়েছে। এটা একজন জনপ্রতিনিধিরর কাজ না। ৮ নং ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তালিকা চাওয়ার পরও চিরঞ্জিত বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে। এমনকি আমি ৯ জনের নাম দেওয়ার পরও শুধু দু জনের নাম দিয়েছে, তার মধ্যে একজন চিরঞ্জিতের শ্বাশুড়ীর নাম রয়েছে। এসবের জন্য আপনি কি উদ্দোক্তাকে মারতে পারেন জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথমে আমার শার্টের কলার ধরেছে এজন্য চড় থাপ্পড় মারা হয়েছে। এটা তার প্রাপ্প ছিল। স্থানীয়রা জানান, চিরঞ্জিত একজন উদ্দোক্তা, সে একজন আদিবাসী সম্প্রদয়ের লোক। তাকে এভাবে মারপিট করা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ না। নামের তালিকা বাদ দেওয়া কেটে দেওয়া এসব চেয়ারম্যান সচিব বলতে পারবে। চিরঞ্জিত হুকুমের গোলাম। তার গায়ে হাত দেওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই না। চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী জানান, ঘটনা জানতে পেরে দরগাডাংগা বাজারে উপস্থিত হয় এবং থানা থেকে পুলিশও এসেছে। চিরঞ্জিত কোন অপরাধ করলে আমাকে বলতে পারত মেম্বার। তাকে মারা উচিৎ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, মোবাইলে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ