বগুড়ার দুটি উপনির্বাচনে ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল

বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। এদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমও রয়েছেন। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ১০ জনই স্বতন্ত্র। অপরজন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান।
আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে এ তথ্য জানান।
এদিন বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপুর এক সমর্থকের কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করে।
রিটানিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার ডিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে তারা ৯ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন।’
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের বিএনপি দলীয় দুই সংসদ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্তে প্রায় এক মাস আগে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আসন দুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬ জানুয়ারি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে যাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম, সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, গোলাম মোস্তফা, ইলিয়াস আলী ও আব্দুর রশিদ।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনেও আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান, সাবেক বিএনপি নেতা সরকার বাদল, বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, রাকিব হাসান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমান।
ডিসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থিতার ক্ষেত্রে স্ব স্ব আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক সাক্ষর গ্রহণের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা নয় স্বতন্ত্র প্রার্থী পুরোপুরি পালন করেননি। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহেমদ মিঠুর নামে ঋণ খেলাপির অভিযোগ রয়েছে। আর বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মনসুর রহমানের মনোনয়নপত্রে তার সাক্ষর নেই। এমনকি তিনি হলফনামাও দাখিল করেননি। ফলে ওই ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’
তবে বাতিল ঘোষণা করা ১১ প্রার্থীর মধ্যে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমসহ নয় জন আপিল করার কথা জানিয়েছেন। বাকি দুজনের একজন সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনসুর রহমান অনুপস্থিত ছিলেন। হিরো আলম জানান, এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ