দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দাতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে-মজনু

স্টাফ রিপোর্টার:জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত, বাংলার জনগণের মুক্তির বার্তা নিয়ে দেশের মাটিতে পা রাখেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে চেপে দীর্ঘ ছয় বছর প্রবাস জীবন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ও প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথে লাখো লাখো মানুষ অভ্যর্থনা জানায় শেখ হাসিনাকে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিমানবন্দর সহ পুরা ঢাকা শহর। এই দিন সারা বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সমবেত হয় রাজধানী ঢাকায়। কর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরে বাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। অকৃত্রিম ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বুকেটেনে নেয় বাংলার আপামর জনগণ। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথেই স্বাধীন বাংলার মাটিতে পথ খুঁজে পায় আওয়ামী লীগ। সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সুসংগঠিত করে তোলেন পিতার হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগকে। তিনি আরো বলেন লাখো জনতার সংবর্ধনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’তিনি গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন। প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল।আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশের স্বাধীনতা লাভ করেছি।আর শেখ হাসিনার দেশে ফেরা মধ্য দিয়ে দল, দেশ ও জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।পিতার অবর্তমানে দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের গণতন্ত্র, অবসান হয়েছে দেশের স্বৈরশাসনের , প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির ভোট ও ভাতের অধিকার। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ এর টি জামান নিকেতা,প্রদীপ কুমার রায়, আসাদুর রহমান দুলু,এডভোকেট তবিবুর রহমান তবি, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ শাহাদাৎ আলম ঝুনু,অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম আক্কাস, নাসরিন রহমান সীমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান মিন্টু,মাশরাফি হিরো, আনোয়ার পারভেজ রুবন, তপন চক্রবর্তী, এস এম রুহুল আমিন তারিক, এসএম শাহজাহান, এবিএম জহুরুল হক বুলবুল, খালেকুজ্জামান রাজা,এডভোকেট নরেশ মুখার্জি ,শহিদুল ইসলাম দুলু, অধ্যাপক শামসুল আলম জয়,আবু সুফিয়ান শফিক,আবু ওবায়দুল হাসান ববি, অধ্যক্ষ আহসানুল হক, তৌহিদুল করিম কল্লোল, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আলমগীর হোসেন স্বপন, কামরুল হুদা উজ্জল, গৌতম কুমার দাস,আব্দুস সালাম,কামরুল মোর্শেদ আপেল, আলমগীর বাদশা, আমিনুল ইসলাম ডাবলু,জুলফিকার রহমান শান্ত,মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, এডভোকেট লাইজিন আর লিনা,নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস, রাশেদুজ্জামান রাজন, ছাত্রনেতা সজীব সাহা ও আল মাহিদুল ইসলাম জয় মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শামিমা সুমি সাহ, সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়া ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজি জুয়েল। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু সহ পরিবার বর্গের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়

সর্বশেষ সংবাদ