শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে-বগুড়ায় মজনু

স্টাফ রিপোর্টার:বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, অবৈধ সেনা সমর্থিত ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে । এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেন। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। হন। ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে আসে। যুগপত্ভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে আজ তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে।গতকাল রবিবার সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনরা কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মজিবর রহমান মজনু বলেন, জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বমহিমায় উজ্জ্বল এদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে একজন সফল রাষ্ট্র নায়কের নাম শেখ হাসিনা। যারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলেন তারা কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপদাপন করেছেন? বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির মহোৎসব করেছে তারা। তাদের মুখে এসব কথা মানায় না। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের কথা ভাবেন, এদেশের মানুষকে ভালোবাসে।এসময় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা টি জামান নিকেতা, এ্যাড. মকবুল হোসেন মুকুল, প্রদীপ কুমার রায়, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু, শাহরিয়ার আরিফ ওপেল এ্যাড. জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু, আখতারুজ্জামন ডিউক, নাছরিন রহমান সীমা, রুহুল মোমিন তারিক, জহুরুল হক বুলবুল, খালেকুজ্জামান রাজা, ম. আব্দুর রাজ্জাক, আবু ওবাইদুল হাসান ববি, মাফুজুল ইসলাম রাজ, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন স্বপন, মুনজুরুল হক মনজু, জুলফিকার রহমান শান্ত, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, রাশেকুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ