রংপুরে কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য বদল করা পরিবারকে নিয়ে উন্নয়নের সফলতা উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার-হত-দরিদ্র থেকে স্বচ্ছল হওয়া পরিবারকে নিয়ে রংপুরে পারিবারিক উন্নয়নের সফলতা উদযাপন অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার (২৬ জুলাই) সকালে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সদর উপজেলা ভেটেরিনারী হাসপাতাল থেকে একটি আনন্দ র‌্যালী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালী শেষে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাসভায়প্রধানঅতিথিরবক্তব্যরাখেনরংপুরবিভাগীয়প্রাণিসম্পদদপ্তরেরপরিচালকডাঃমোঃআব্দুলহাইসরকার।বিশেষঅতিথিরবক্তব্যরাখেনমহিলাবিষয়কঅধিদপ্তরেরউপ-পরিচালকসেনোয়ারাবেগম, অতিরিক্তজেলাপ্রাণিসম্পদকর্মকর্তাডাঃমোঃজোবাইদুলকবীরওরংপুরসদরউপজেলাপ্রাণিসম্পদকর্মকর্তাডাঃরহমতআলী।

মিতানুর জামান মিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন রংপুর এরিয়া কো-অর্ডিনেশন অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকুল চন্দ্র বর্মন ও টেকনিক্যাল প্রোগাম ম্যানেজার রুহুল আমিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বক্তারাবলেন, ওয়ার্ল্ডভিশনেরসহযোগিতাওপ্রশিক্ষণনিয়েগরু, হাঁস-মুরগিপালন, শাক-সবজিউৎপাদনওক্ষুদ্রব্যবসারমাধ্যমেউপকারভোগীরাতাদেরআর্থসামাজিকউন্নয়নঘটিয়েছে।হত-দরিদ্রথেকেস্বচ্ছলতারএমনগল্পসমাজেছড়িয়েদেওয়াগেলেমানুষউদ্বুদ্ধহবেএবংসমাজউপকৃতহবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ রংপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার দানিয়েল সরকার, প্রোগ্রাম অফিসার চিত্রা চিসিম, বারনাড কুজুর এবং প্রোগ্রাম কোয়ালিটি স্পেশিয়ালিস্ট মোঃ কামরুল হাসান। শেষে উপকারভোগীদের মাঝে নারিকেল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এরপর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ- রংপুর এরিয়া প্রোগ্রাম ২০১৩ইং সাল থেকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭, ১৮, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের সকল মহলের সার্বিক সহায়তায় স্বচ্ছতা ও সফলতার সাথে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় অর্থ বছর ২০২১ এ যে সকল পিছিয় পড়া হতদরিদ্র জনগোষ্ঠি তাদের জীবন মানের উন্নয়নে, আয় বৃদ্ধিমুলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নিজেদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী ও পরিবারে শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, গুনগত ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অন্তর্ভূক্ত হয়ে ছিল, তাদের ২ বছরের নির্ধারিত কর্মকৌশল অনুযায়ী ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বকনা বাছুর উপকরণ হিসেবে সহায়তা প্রদান করেছিল। ২ বছর শেষে যথাযথ পরিদর্শন, বিভিন্ন সেশন পরিচালনা, আয় ও ব্যয়ের হিসাব পরীবিক্ষন করে তাদের জন্য একটি জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপ অনুযায়ী ১৬৬ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৫০ জনই গ্রাজুয়েশন লাভ করে। এই উপলক্ষে ২৬ জুলাই বুধবার স্থানীয় উপজেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ৫০ জন উপকারভোগীর জন্য “পারিবারিক উন্নয়নের সফলতা উদযাপন অনুষ্ঠান ২০২৩” আয়োজন করা হয়।

সর্বশেষ সংবাদ