স্মারকলিপিতে উল্লেখিত বক্তব্যঃ
বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন ১৯৭৬ সাল হতে ও বাংলাদেশ কিষাণী সভা ১৯৯০ সাল হতে খাসজমিতে ভূমিহীন নারী-পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বরিশালের পাশ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালীর দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় আমাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদ্যোগে বেশকিছু খাসচরের ভূমিতে ভূমিহীন পরিবার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়েছে। ফলে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত ভূমিহীন পরিবারের জীবন-জীবিকার নিশ্চিয়তা হয়েছে।
বরিশালেও আমাদের সংগঠন ১৯৮৯ সাল হতে সক্রিয়। ১৯৯৬ সালে জাগুয়ার খাসচরে প্রায় ২০০০ ভূমিহীন পরিবার অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কিন্তু স্থানীয় ভূমিদস্যুরা লুটতরাজ ও খুনখারাবির মাধ্যমে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করে দেয়। প্রায় একই সময়ে আমাদের সদস্যরা সদর উপজেলার অন্তর্গত রসুলপুর চরে অবস্থান নেয়। সেখানে আজও আমাদের ভূমিহীন সদস্যরা সন্তানসন্ততি নিয়ে অবস্থান ও বসবাস করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় রসুলপুর চরে বসবাসরত ভূমিহীনরা আজও স্থায়ী বন্দোবস্ত পায় নি। আরো দুঃখজনক এ কারণে যে স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু ও ভূমিদালাল জোট বেঁধে ভূমিহীনদের দখলিকৃত জায়গা ক্রয়-বিক্রয় করে অবৈধ উপার্জন করছে। ফলে প্রকৃত ভূমিহীনরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানে সরকারের ১৯৯৭ সালের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এ নীতিমালা অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা পর্যায় খাসজমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার কথা। আমরা যতোদূর জানি বরিশাল সদর উপজেলায় এ ধরনের কোন কমিটি বিদ্যমান নেই।
রসুলপুর চরসহ বরিশাল সদর উপজেলার সকল খাসজমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য স্মারকলিপির মাধ্যমে আবেদন জানাচ্ছি।
একই সাথে বন্দোবস্ত প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য নিম্নে ৩ দফা দাবী উত্থাপন করছিঃ
১. বরিশাল সদর উপজেলার সকল খাসজমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দিতে হবে;
২. খাসজমির অবৈধ দখলদার ভূমিদস্যুদের অবিলম্বে উচ্ছেদ করতে হবে;
৩. অবিলম্বে সদর উপজেলায় খাসজমি বন্দোবস্ত ও ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে হবে।