পলাশবাড়ীতে পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিশেষ কায়দায় চলছে জমজমাট ভ্রাম্যমান জুয়ার আসর

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর স্থানীয় ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে আসা বহিরাগত পেশাদার জুয়াড়িদের ব্যাপক পদচারনায় সরগরম হয়ে উঠে জুয়ার চিহিৃত স্পট সমূহ। মরণনেশা জুয়ার চরম আসক্তিতে ভূক্তভোগিরা সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। বাড়ছে নানা ধরনের অপরাধকর্ম।
তথ্যানুসন্ধান জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর প্রত্যন্ত পল্লীর বৃক্ষঘেঁরা পয়েন্টের আড়ালে-আবডালে এসব জুয়া নাকি এখন ওপেনসিক্রেট। তবে সবকিছুই হয়ে থাকে বিভিন্ন দিন-বিভিন্ন সময় ভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে। মোবাইল ফোনের কল্যাণে ধুরন্ধর জুয়ারিচক্র গোটা এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। কাকতালীয় কোনো-না-কোনো কারণে পুলিশের উপস্থিতি ঘটে-তবে জুয়ারিদের আগেই সাবধান করা হয়। গোটা এলাকাজুড়েই চক্রটি বিস্তৃত। মাস পেরিয়ে বছরের পর বছর দীর্ঘ সময় ধরে জুয়া খেলার এমন লুকোচুরি ‘ঝট-পট’ নামীয় ছয় গুটির ডাব্বু জুয়া চলায় এলাকার স্বাভাবিক শান্ত পরিবেশ ক্রমেই অশান্ত হয়ে উঠছে। বেড়েই চলেছে নানামুখী অপরাধ। নো-পরোয়া-দাম্ভিক স্বভাবের সংঘবদ্ধ জুয়াড়িদের মারমুখি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এদেরকে কেউই কিছু বলার সাহস করেনা। পৌরশরের শিমুলিয়া (কামারপাড়া), আন্দুয়া, ছোট শিমুলতলা এলাকার মর্চ্চ নদী তীরবর্তী ঘেঁষে কলাবাগান ও পানবরজের আড়ালে, কিশোরগাড়ী ইউপি’র নয়আনা নওদা, কাতুলী, বেংগুলিয়ায় বাবু’র ইটভাটা সংলগ্ন, হোসেনপুর ইউপি’র নিরিবিলি বৃক্ষছায়া ঘেরা সাতআনা নওদায় ঝাড়ের আড়ালে। আজ ওখানে-কাল ওখানে ওইসব চিহিৃত পয়েন্টে ডাব্বু জুয়া খেলা চলছেই। মোড়-রাস্তারধারে নগদ টাকায় কেনা জুয়ারি চক্রের সুবিধাভোগি লোকজন অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় তটস্থ। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের সম্ভাব্য উপস্থিতির খবরা-খবর বিনিময় করে থাকেন। জুয়ারি চক্রের মূলহোতা কারা। তাদের পরিচিতি জানতে গিয়ে জানা যায়, পৌর এলাকার পশ্চিম গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত মোজ্জাম্মেল হক বাদিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক ওরফে মানিক, নুরপুর গ্রামের হারুন মিয়া, কিশোরগাড়ী ইউপি’র গণেশপুর গ্রামের আতিকুর রহমান, আন্দুয়া গ্রামের মৃত সয়েন উদ্দিনের ছেলে হেলাল মিয়া, মৃত বাবর আলীর ছেলে সিদ্দিক মিয়া, ছাত্তার ও শাহাদ এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ নাম না জানা আরো অনেকেই রয়েছেন এই তালিকায়। প্রায় প্রতিদিনই বিকেল থেকে অবিরাম সন্ধা। কখনো-কখনো সকাল বিকেল গড়িয়ে গভীররাত-ননস্টপ। অটোভ্যান-অটোবাইক মোটর সাইকেলসহ যান্ত্রিক বাহনের ভিঁড় জমে উঠে। ছোটো-খাটো চা-পান সিগারেটের দোকানও চোঁখে পড়ে। জুয়াড়িদের কঠোরহস্তে দমনে ওইসব এলাকার সচেতন ভূক্তভোগি মহল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ সংবাদ