তানোরে আওয়ামী লীগের আট বছরে মৎস্য খাতে সাফল্য

সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগের অট বছরে মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জন হয়েছে। স্থানীয় সাংসদের প্রচেস্টায় বিলকুমারি বিলে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি কজওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে মট্রিকটন। এছাড়াও মৎস্য চাষি ১ হাজার ৯৪ জন, মৎস্য খামার (বাণিজ্যিক) ৮০৭টি, আয়তন ২০৯ হেক্টর, মাছের উৎপাদন ১ হাজার ২৩২ মেট্রিকটন বৃদ্ধি ১ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন। অন্যদিকে বিল ১টি, আয়তন ১৫৭.০ হেক্টর, উৎপাদন ১৪২ মেট্রিক টন, বৃদ্ধি ৫২ মেট্রিক টন। পোনা ব্যবসায়ী ৩৭ জন বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ জন ও মৎস্যজীবি ১ হাজার ৬৭২ জন, উৎপাদন ছিল ১৫৭ মেট্রিকটন, বিল ছিল একটি আয়তন ১৫৭ হেক্টর মাছের উৎপাদন ছিল ৯০ মেট্রিক টন, পোনা ব্যবসায়ি ছিল ১৫ জন ও মৎসীজীবি ছিল ৫৫০ জন। এছাড়াও মাছের দৈনিক বাজার ১টি ও মাছের আড়ৎ ছিল ৫টি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আট বছরে মৎস্য খাতে প্রায় চারগুন বেশি উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তানোরে চলতি অর্থবছরে পুকুর-দীঘির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়ে ৫ হাজার ৩৮৪ টি, আয়তন ৭৯১ হেক্টর, মাছের উৎপাদন ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিকটন এবং বৃদ্ধির পরিমাণ ২ হাজার ৪৮৩ বেড়েছে ১ হাজার ১২২ জন। মাছের দৈনিক বাজার ৩টি বেড়েছে ২টি, মাছের আড়ৎ ২১টি এবং বেড়েছে ১৬টি। এছাড়াও অবকাঠামো অভয়াশ্রম ৩টি আয়তন তানোরে বাৎসরিক মাছের চাহিদা (দৈনিক ৬০ গ্রাম) ধরে ৩ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন-এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩ হাজার ৯৮৩ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত হচ্ছে ২১৩ মেট্রিক টন। বিগত ২০০৬ সালে পুকুর-দীঘি ছিল ২ হাজার ১৯৩টি, আয়তন ছিল ৪৬৫ হেক্টর এবং মাছের উৎপাদন ৫০ মিটার ও বিল নার্সারি ১টা ও ৩টি পুকুর আয়তন ১ হেক্টর এবং জীবন্ত মাছ পরিবহণের অবকাঠামো তৈরী করা হয়েছে ৩টি। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষে প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য়) শুরু হয়েছে, কুঁিচয়া ও কাঁকড়া চাষ এবং গবেষণা প্রকল্প, জেলেদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, অর্থনৈতিকভাবে এলাকার জনগণের দারিদ্র ছিল এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ও মৎস্য চাষি ছিল ৫০০ জন, মৎস্য খামার (বাণিজ্যিক) ১২১টি আয়তন ছিল ৪৬.০ হেক্টর ও মাছের ২.৫ হেক্টর, স্পিলওয়ে ১টি মাচন ও জীবিকা নিশ্চিত করণ প্রকল্প, এফসিডিআই প্রকল্প ও ফুড সেফটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকারের সময়ে মৎস্য খাতে যে উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে এক কথায় তা নজির বিহীন। তিনি বলেন, আগে প্রতি বছর ৪৫ হাজার টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করা হতো এখন দেড় লাখ টাকার পোণা অবমুক্ত করা হয়, এছাড়াও মৎস্য সপ্তাহ পালনের জন্য সাড়ে ১৩ হাজার টাকা দেয়া হতো এখন ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

 

সর্বশেষ সংবাদ