প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরের পরে পরিবেশ দূষণে চট্টগ্রামের অবস্থান। তবে সব থেকে বেশি ভাবনার বিষয় চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এক—তৃতীয়াংশ জেলা পানির নিচে তলিয়ে যাবে যার নিদর্শন চট্টগ্রামের এই বন্যা পরিস্থিতি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অতি দ্রুত সমুদ্রের গভীরতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে পাশাপাশি শহরের মধ্যে যে সকল খাল দখল হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কিন্তু নদী ও খাল পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে। অবৈধ দখলকারীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের দখল বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
উদ্বোধক তার বক্তব্য বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের এই আন্দোলনে নারী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নারী ও শিশুরা।
চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম শহরের নদী ও খাল পুনরুদ্ধারে খুব দ্রুত জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সকল পর্যায়ে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কায়সার ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রক্সি জাহান, সাদ্দাম হোসেন, সাপ্তাহিক চট্টবানীর নির্বাহী সম্পাদক এস কে জীবন চৌধুরী, দৈনিক সকালের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার নজরুল ইসলাম। আলোচনা সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, মহানগর ও ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা। আলোচনা শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। সংগঠনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজনকে সেরা সংগঠক পুরস্কার দেওয়া হয়।