স্টাফ রিপোর্টার:জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় বগুড়ায় গন্যমান্য ব্যক্তি, ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বগুড়া শহরের একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টের এর সভা কক্ষে বুধবার সকাল ১১ টায় বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে এবং ব্র্যাক যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বগুড়া সদরের সহযোগিতায় ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন।ওরিয়েন্টেশনে যক্ষা নিয়ন্ত্রণে করনীয়, স্বাস্থ্য সেবা, সচেতনতা বৃদ্ধি, সমাজিকভাবে সচেতন করে গড়ে তোলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক বজলুল করিম বাহার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, ব্র্যাক যক্ষ¥া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বগুড়া সদরের কো-অর্ডিনেটর সুরাইয়া বাবলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে যক্ষা রোগের বিভিন্ন দিক তুলে ও সরকারের অবদান নিয়ে পাওয়ার প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসমা হক। বক্তব্য রাখেন জেলা ইমাম মোয়াজ্জিন সমিতির সভাপতি মাওঃ মোঃ আব্দুল কাদের, সাংবাদিক মোহন আকন্দ, সাংবাদিক নাসিমা সুলতানা ছুটু, শিক্ষক প্রতিনিধি ফারজানা আখিঁ, যুব প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান বাপ্পিসহ নারী প্রতিনিধি, নারী প্রতিনিধি তাহমিনা পারভিন শ্যামলী, পৌরসভার কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।বক্তারা বলেন, যক্ষা একটি প্রাচীন ঘাতক ব্যাধি। প্রতি বছর বাংলাদেশে বহু লোক এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। পূর্বে এ রোগের চিকিৎসা ছিল না কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা ও ওষুধ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি যক্ষার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সময়মত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না, তখন সেই ব্যক্তির (সম্ভাব্য যক্ষা রোগী) কফ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তিকে প্রথমে সংক্রমিত করতে পারে। সরকার অতিগুরুত্বের সাথে দেশের সকল জেলা উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার যক্ষ¥া রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ্য করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অনেক সময় সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা, অর্থনৈতিক সংকট ও তথ্যের অভাবে যক্ষা রোগীরা চিকিৎসা কেন্দ্রে সঠিক সময়ে যায় না, চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ওষুধও সেবন এবং পূর্ণ সময় ব্যাপি চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। তাদেরকে সময়মত চিকিৎসা গ্রহণ করতে প্রচারণা চালিয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে সমাজের সচেতন ও প্রতিনিধি ব্যক্তিদের আরও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
বগুড়ায় যক্ষা নিয়ন্ত্রণে ও সচেতনতায় ওরিয়েন্টেশন
8 months ago
9 Views
You may also like
সর্বশেষ সংবাদ
সারিয়াকান্দিতে থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫
3 months ago
শোক সংবাদঃ নৈশ্য প্রহরী শাহজাহান আলীর ইন্তেকাল
3 months ago
কাজিটুলা থেকে বৃদ্ধ নিখোঁজ; ১৯ দিনেও মেলেনি খোঁজ
3 months ago