খালেদা জিয়াকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তাদের বিচার হবে: জয়নুল আবেদীন ফারুক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আজ যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) এর উদ্যোগে আজ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত সুচিকিৎসার দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, এই সরকার মানুষকে কথা দিয়েছিল ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে, মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। একটি কথাও শেখ হাসিনা রক্ষা করতে পারেনি। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে এর জবাব চাই। জবাব আজ হোক, কাল হোক আপনাকে দিতে হবে। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চান বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। যেভাবে আট আনা দিয়ে গণভবন কিনে নিয়েছিলেন, সেভাবে বাংলাদেশের মালিক হতে চান আপনি। তাই আপনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান না। তাই আপনি আপনার বিরোধিতা করা রাজনৈতিক নেতাদের অসত্য মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান। তাই আপনার কাছে আর দাবি নয়।

তিনি আরও বলেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিনা ভোটের মেয়র বলে, মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবে না। এই তাপস, আপনার বাবার সঙ্গে আমার রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে। কথাবার্তা একটু সাবধানে বলবেন। মির্জা ফখরুল তো লাখ লাখ জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। ঠেকাতে পেরেছেন আপনি (মেয়র তাপস)? তাই মুখে কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন। বুড়িগঙ্গায় এমন মাছের জন্ম হয়েছে, যেই মাছ আগে মশা খেতো, সেই মাছ এখন মানুষ খাচ্ছে। বুড়িগঙ্গার যে মাছ আপনি সরাতে পারেন না, ডেঙ্গু সরাতে পারেন না, আপনার সরকার মানুষকে ডিম খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে না, আপনার মুখে এসব কথা কি শোভা পায়?

বিএনপির এই নেতা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও লেখা নেই স্বৈরাচার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। হাছান মাহমুদের মুখে জোর আছে, ওবায়দুল কাদেরের মুখে জোর আছে, ভোট চোরের মুখে এখন শক্তি বেশি। এই শক্তি তখনই শেষ হয়ে যাবে, যখন প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা—কর্মচারীরা জনগণের পক্ষে কথা বলা শুরু করবে। কারণ দিন বেশি নেই।

ষড়যন্ত্র করে তৃণমূল বিএনপি তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ঘরে রেখে অনেকে ছেড়ে গিয়েছিল। বড় বড় নেতারা দল করেছিল। টিকতে পারেনি, চুরমার হয়ে গেছে, রেল লাইনে অপমানিত হয়েছে। কোথায় তারা আজকে? টিকে আছে শুধু খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুলের মতো নেতারা। তাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র আসবে। সময় বেশি নেই। গণতন্ত্র আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) দিতে হবে। ভোট আপনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দিতে হবে।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিপ্লবী সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম—সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানার পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব, বিএনপির সহ—তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, গন অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারেক রহমান, মৎস্যজীবীদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জিয়াউর রহমান  সমাজকল্যাণ ফোরাম নির্বাহী কমিটির সহ—সভাপতি মোঃ আলী মন্ডল, শামসুজ্জোহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিক, মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ—সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজিব আহমেদ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন (মানিক), কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ। এসময় জিসফ মহানগর উত্তর—দক্ষিণের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ