আবারো বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রুবাইত হাসানের উপর হামলা অপহরণের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাধিক অনিয়ম ও অপরাধ অনুসন্ধানের জেরে আবারো বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী রুবাইত হাসানের উপর দফায় দফায় হামলা অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
জাতিসংঘ ইউএনভি ব্যজ প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সদস্য ও ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন স্পেশাল মনিটরিং মিশন বাংলাদেশ শাখার স্পেশাল কোঅর্ডিনেটর  রুবাইত হাসান প্রায় এক যুগ ধরে সাংবাদিতা করে আসছেন। রুবাইত হাসান উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন পেশাদার সাংবাদিক যা নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতেও স্পষ্ট।তিনি সরকারি,বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক তিন ক্যাটাগরিতেই কাজ করেন।অন্যায়,অবিচার,অনিয়ম,দূর্নীতি,মাদক, জুয়া ,অশ্লীলতা, জানা অজানা প্রকাশিত অপ্রকাশিত, ওপেন সিক্রেট অর্থাৎ তিনি অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সাহসী কন্ঠস্বর, তিনি একজন কলম সৈনিক।বিভিন্ন সময় তিনি এসব প্রতিবাদ, প্রকাশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অভিযান দিয়ে থাকেন।এই সূত্রে ২০১৫ সালে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন (জংসনে) চিত্র ধারন করার সময় প্রথম তার উপর হামলা করা হয়। এরপর প্রায়শই তাকে হুমকি, ধামকি, হামলা, মিথ্যা মামলার নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হয়। সম্প্রতি রুবাইত হাসান জাতীয় প্রেসক্লাব -এ প্রেস বিফ্রিং এর ঘোষনা দেন। কিন্তু অসুস্থার জন্য ওই ঘোষনা সহ বেশ কিছু শিডিউলও তিনি ক্যান্সেল করে দেন।রুবাইত হাসান দীর্ঘ সময় ধরে লিভার ও হার্টের ভাল্ব জনিত অসুস্থতায় ভুগছেন।গত ৩০ নমেভ্বর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে জরুরী ভিত্তিতে তাকে  সিসিউতে নেওয়ার পর ইসিজির একাধিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষন করে আইসিইউ থেকে জানানো হয় যত দ্রুত সম্ভব ওপেন হার্ট সার্জারি ও ভাল্ব প্রতিস্থাপনের।গত ১২ ডিসেম্বর উপসর্গ আরো তীব্রতার অবস্থায় আবারো তাকে জরুরী ভিত্তিতে চেক ইস্পেলাইজিস্ট হাসপাতাল ও মেডিকেলে জরুরী ভিত্তিতে ভর্তি করানো হয়। গত ০১ জানুয়ারি ইনভেজটিগেশনরত অবস্থায় ও তার আবাসন সদরের রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ায় নতুন ভাড়া বাসায় উঠার সময় তিনি মালামাল যাতায়াতের উপরও নজর রাখছিলেন।ওই ০১ জানুয়ারি থেকে ০৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তার উপর দফায়,দফায় হুমকি,হামলা, ছিনতাই,মোবাইল হাতিয়ে নেওয়া,এমনকি ভাড়া বাসায় (বাসার মালিকের উপস্থিতিতেও) হামলা, দ্বিতীয় বারের মতো টাস ফোনও হাতায়ে নেওয়া হয়। তার সহধর্মিণী স্ত্রী’কে পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ দিলে এবং প্রমানাদী ডিলিট না করলে অপহরন হত্যা গুম,  আলামত নষ্ট করা সহ উল্টো মামলা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানোর প্রকাশ্যে প্রতিবেশির উপস্থিতেই শাসায়।গত ০৭-০১-২০২২ খ্রিঃ রাতে লোহার রড সহকারে হামলা করতে আসে, টের পেয়ে রুবাইত হাসান ৯৯৯ জাতীয় জরুরী সেবার দারস্থ হউন।পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে সাঙ্গ পাঙ্গরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।সম্প্রতি রুবাইত হাসান  মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাকঃস্বাধীনতা, সাংবিধানিক ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার, বাংলাদেশ সংবিধান ৭ -১ ধারা,  ৩৯ নং অনুচ্ছেদবলে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিয়তা। বাংলাদেশে সংবিধানের ৩৬ নং ৩৭ নং ও ৩৮ নং অনুচ্ছেদে যথাক্রমে চলাফেরার স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
সেখানে কেন দ্বিমতকে প্রতিদন্দী,বিরোধী হিসাবে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে?
জুলুম করা হচ্ছে?
একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে জানতে চান তিনি?
কেন সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে? কেন? সংবিধান কী যা ইচ্ছা ঢুকাবেন বের করবেন? আমি নাগরিকও তো জানিনা। এই ক্ষমতা পুলিশ কোথায় পেলো? কেন দ্বীনি মাহফিলে এত শত নিতীমালা? মাহফিলে বাঁধা? হ্যাঁ কিছু বক্তা ওয়াজ মাহফিলে বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি বা বিতর্কিত বক্তব্য দেন আমি নিজেই বলতেছি।এখন আমাকে এটা বুঝান মেজর সিনহা হত্যা মামলায় কী দেখলেন?  ওসি প্রদীপ, এই ওসি প্রদীপ কোন ভূমিকায় ছিলেন? সবাই বললেন পুলিশ খারাপ, এরা জঘন্য।তো সারাদেশ জুড়ে কী একটি থানা?  ওই একজন  ওসি? না। এখানে কথা হচ্ছে শুধু ওসি প্রদীপ কেন তলে তলে অনেকেই আছে।সেটা যদি মেজর সিনহা না হয়ে কোন সাধারন নাগরিক হতো? তাহলে বিচার? বুঝছেন তো।সাগর-রুনী হত্যা মামলার বিচার তো দূরের কথা চূড়ান্ত প্রতিবেদনটায় তারিখের পর পাল্টে ১০০ + হয়ে গেছে।  গুটি কয়েক বেয়াদব পুলিশ মানেই পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বা পুরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়।অনেক মানবিক পুলিশ আছেন। আমার নিজের ব্যক্তিগত এসপি,ডিআইজি পরিচিত আছে।তারা অনেক আন্তরিক ও বিনয়ী। বাংলাদেশই মনে হয় এমন একটি দেশ যেখানে বিরোধী দলকে সমাবেশের  জন্য  অনুমতি নিতে হয়? এই বিএনপিও ক্ষমতালোভী,প্রতিহিংসা পরায়ন।ওই একদিন তারিখ ওই তারিখেই দুই দলই সহ আরো যারা আছে ওইদিনেই একদম করতে হবে সমাবেশ? পরদিন বা পূর্বের দিনে কী সমস্যা?বায়তুল মোকারম দক্ষিণ গেটে মাদ্রাসার শিশুটির প্রান,জীবনের দাম, মূল্যায়ন কী?   বাড়াবাড়ি করলে না কী শাপলা চত্তরের থেকে খারাপ অবস্থা হবে। আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক কাদের স্যার কী বোঝাতে চাচ্ছেন? কী ইঙ্গিত পূর্ন বার্তা তিনি দিচ্ছেন?
অথচ কী হয়েছিলো শাপলা চত্তরে, তা স্পষ্ট হতে পারছি না। এটা একপ্রকার ধোঁয়াশা!
কারন ইসলামি সংগঠনটিও স্পষ্ট কোন প্রকার দলিল দিতে পারেনি। সুতরাং এটা বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দাঁড়ি পাল্লা বলেই আমি মনে করছি।এখানে একটি কথা না বললেই নয় তা হলো একাত্তর টেলিভিশন ফারজানা রূপা আবাসিক প্লট পাচ্ছেন, মুন্নি সাহা এখানে আরো অনেকে আছে মুরব্বীদের নাম উচ্চারন করে আবার বেয়াদব হয়ে যাবো থাক।
তিনি আরো যুক্ত করেন সংবিধান অনুচ্ছেদ  ৪৩-খ তে বলা আছে, মোবাইল শব্দ উল্লেখ্য না থাকলেও সমার্থক শব্দটা ঠিকই মোবাইল বোঝায় এবং সেখানে বলা  সাংবাদিক কেন? কোন নাগরিকেরই ফোন পুলিশ চেক করতে পারেনা। অথচ কৌশলগত ভাবে সাংবাদিকদের চাঙ্গা রাখার জন্য সর্বশেষ বলা হলো, সাংবাদিকের ক্যামেরা বা পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা দিলেই ২-৭ বছরের।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন না কী সাংবাদিকদের হয়রানির জন্য নয়  জন্য নয়। সাংবাদিকদের আন্দোলন ক্ষোভ আর বিতর্কিত হওয়ার পর তা সংশোধনের বিশ্বাস যোগ্য আশা দেওয়া হয় অথচ তা কেবল নাম পরিবর্তন সংশোধনের বাইরে যা সংশোধন আনা হয়েছে, তা তেমন কিছু না কারন বিতর্কিত ধারা গুলো বহালই আছে।
আর বার বার তা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদেরই টার্গেট করে হয়রানি পেরেশানি বিদ্যমান। খুন হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক দম্পতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন সেন্চুরি শতক পেরিয়ে গেছে।
বেশ কিছু মিডিয়া ও চিন্হিত সাংবাদিকরা সুবিধাভোগ করে সরকারের এবং মেয়র ও চিন্হিত আরো অনেক এবং অনেক সাংবাদিক অতি রন্জিত করে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।সংবাদ মাধ্যমের উপরেও জনগণের আস্থা, বিশ্বাস যোগ্যতা, গ্রহনযোগ্যতা আর তেমন নেই বরং ফেসবুকে নাগরিকদের (অরাজনৈতিক)  পোষ্ট,ভিডিও, লাইভ ইত্যাদির দিকেই ঝুঁকছে। ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য। কোনটা অর্গানিক আর কোনটা এডিট বুঝা বড়ো দায়। অতি সম্প্রতি রুবাইত হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেস বিফ্রিং (ফেসবুক লাইভে) তাকে যে, কোন সময় অপহরন, গুম, হত্যা করা হতে পারে বলে তিনি সকলকে অবগত ও জানা, অজান্তে ভুল করে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি মৃত্যুর প্রস্তুতিও নিয়ে থাকি। রব আমাকে বাঁচাতে চাইলে পৃথিবীর সকল শক্তি এক হলেও আমাকে মেরে ফেলতে পারে না,আর রব যদি ডাক দেন তাহলে পৃথিবীর সকল শক্তি আমার পক্ষ্যে ও আগলে রাখলেও বাঁচাতে পারবেনা।
হাস্যজ্জল ভাবে রুবাইত বলেন, কেউ হুমকি দিলে আমার হাসি পায়।মনেহয় স্বার্থক, খুঁটি না নড়লে হুমকি না আসলে তো নিশ্চিত হতে পারি না কাজটা সঠিক ভাবে করতে পেরেছি কী না? আর হুমকি মানে সেটারই গ্রিন ছিগনাল।
শারিরিক অবস্থার উন্নতি হলেই,
সরকারের কাছে বাংলাদেশ সংবিধানের এই সব ধারা কেন প্রয়োগ করা হচ্ছেনা?
না কী সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের মতো নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না? প্রজ্ঞাপন জারি করে কেবল কাগজে কলমে। কিন্তু বাজারে দ্রব্যমূলের ঊর্ধগতি।
দীর্ঘ শাস্ব দিন মজুর, শ্রমিক খেটে খাওয়া মানুষের।
সরকারকে নারী অধিকার নিয়ে নয় বরং  মানবাধিকার উন্নয়নে নিয়ে আরো জোর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।যোগ করে তিনি আরো বলেন আমি বার বার বলে আসতেছি,বিশ্ব  মানবাধিকার দিবস উদযাপনেও বার বার তাগিদ দিয়ে আসতেছি,
নারী নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সুবিধা নিয়ে নির্যাতিত নারীদের (সিংহভাগ কম)  নিয়ে পাশাপাশি লোভী ও খারাপ প্রকৃতির মহিলাদের (সেলিব্রেটিরা পর্যন্ত) যে বিশাল একটা অংশ চক্র কিংবা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল, মামলা, হুমকি ধামকি হত্যা টার্গেট মোটা অংকের মোহরানার।ভুক্তভোগী পুরুষ যখন আর পেরে উঠছেন না,তখন পুরুষের আইনি সেবা পাওয়ার বিশেষ সুবিধা কোথায়? চলতে থাকা এসব প্রকাশিত -অপ্রকাশিত এসব নির্যাতনের আশু ব্যাবস্থা নেওয়া প্রয়োজন(জাতীয় দৈনিক পত্রিকা,প্রিন্ট, অনলাইন,ইলেকট্রনিক্স সংবাদ কার্টিং ও লিংক এবং ভিডিও প্রচারিত ও সংরক্ষিত)। সাক্ষীগন সাক্ষী না দিলেও ঘটনা প্রমানে যথেষ্ট পরিমান ডকুমেন্টস রয়েছে। হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’
সর্ব অবস্থায়,  আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহু আকবর।অসুস্থজনিত কারনে  তিনি ভার্সুয়ালি ব্রিফিং এ এসব উল্লেখ্য করেন।
 এ বিষয়ে রুবাইত হাসান বাদী হয়ে গত ০৮-০১-২০২৪ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে ।

সর্বশেষ সংবাদ