বগুড়ায় পৈতৃক জমি দখলের চেষ্টা, সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ! 

বগুড়া শহরতলীর ফুলবাড়ীতে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ফুলবাড়ী উওরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, জমিজমা নিয়ে একই এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন খলিফার ছেলে মো. সেলিম আলী খলিফার সাথে মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ছেলে মো. জামিউল ইসলাম, মেহরাজ, শামসুল আলম, সাব্বির হোসেন, শাকিল ও জাকির হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ৬ ছেলেসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন দা, কুড়াল, লোহার রড, হাতুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ওই জমিতে দেয়া ইটের প্রাচীর ভেঙে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। এঘটনায় ওইদিন রাতেই বগুড়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সেলিম আলী খলিফা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সেলিম আলী খলিফার দাদা মৃত ওমর আলী খলিফা কবলা দলিল মূলে ফুলবাড়ী মৌজায় ৩৩১ নম্বর খতিয়ানে ২৪৬৭ নম্বর দাগে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমিক্রয় করে ভোগ দখল করেন। জমি ভোগ দখল থাকা অবস্থায় একই এলাকার মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ওয়ারিশগণ গত ১৯৯৪ সালের ১৭ অক্টোবর ওই সম্পত্তির দলিল বাতিলের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পর গত ১৯৯৮ সালের ১২ অক্টোবর তাদের বিপক্ষে অর্থাৎ অভিযোগকারীর দাদা ওমর আলী খলিফার পক্ষেই আদালত মামলার রায় দেন এবং ঢাক-ঢোল পিটিয়ে,পুলিশ, ফোর্স কোর্ট কমিশনারসহ সরজমিনে লাল ফ্লাগ উড়িয়ে ডিগ্রি বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকে ওয়ারিশ পরমপরায় শান্তিপূর্ণভাবে তারা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সেলিম আলী খলিফা জানান, আদালতে মামলায় পরাজিত হয়ে তারা ওই সম্পত্তি জবর দখল করবে মর্মে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত চাঁন মিয়া খলিফার ৬ ছেলেসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জন দা-কুড়াল, লোহার রড, হাতুড়ীসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা আমার জমিতে দেয়া ইটের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। ওইসময় আমি সেখানে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করতে এগিয়ে এলে আমি সেখান থেকে পালিয়ে যাই। এরপর আমার চাচাতো ভাই মো. বাবুল এগিয়ে এলে তার মাথায় তারা আঘাত করলে সে আহত হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহমান জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী ওই রাতেই সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে‌ন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ