ঘোড়াঘাটে নিষিদ্ধ পলিথিন যত্রতত্র ব্যবহার হুমকির মুখে জীববৈচিত্র

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ(মহাতাব মুহাম্মাদ সরকার) প্রতিনিধিঃ সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ঘোড়াঘাটসহ দেশের  যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন।হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র।.

সরকার ইতিপূর্বে পলিব্যাগ ও পলিথিন ব্যবহার না করার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । আইন তৈরী ও সরকার যথাযথ প্রয়োগ না করায় সর্বত্রই ব্যবহার হচ্ছে পলিথিন।

সরকার যতই আইন তৈরি করুক না কেন, তা সঠিক ব্যবহার করা না হয়, সে আইনের মূল্য আছে কি না তা জনগণের জানা নেই।

এ কারণে ব্যবসায়ীরা সরকারি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী ব্যবহার করে দেদার ব্যবহার করছে নিষিদ্ধ পলিথিন। পলিথিনি ব্যবহারের ফলে দিনের পর দিন একদিকে যেমন হুমকির মুখে পড়ছে জীব বৈচিত্র্য।

স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার,বিপণন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ফের এই ব্যাগের অবাধ ব্যবহার শুরু হয়েছে। এমন এলাকা পাওয়া দুষ্কর, যেখানে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নেই।

প্রকাশ্যে এখন এর ব্যবহার চলছে দেদারছে।সহজলভ্য ও ব্যবহারে সুবিধা, বিধায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই অভ্যস্ত এটি ব্যবহার করতে। অভিজাত রেস্টুরেন্ট, মুদির দোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতের প্রায় সব দোকানের পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ।

সর্বত্রই নিষিদ্ধ পলিথিনের ছোট-বড় ব্যাগের ছড়াছড়ি। সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি আকারে। তবে আগের পলিথিন ব্যাগে হাতল ছিল, এখন হাতল ছাড়া পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। আর প্রকাশ্যেই আইন ভঙ্গ করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

সুত্র মতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে ২০০২ সালে পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। ২০০২ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে বলা আছে, পলিথিন ব্যাগ বিক্রয়, প্রদর্শন, মজুদ,বাজারজাত ও বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা যাবে না।

কিন্তু এরপরও বিভিন্ন ব্যবসায়ী পলিথিন ব্যাগ বিক্রি ও পণ্য পরিবেশনে ব্যবহার করছেন। ওই বছরের ১ জানুয়ারি ঢাকা ও ১ মার্চ সারা দেশে পরিবেশ রক্ষায় পলিথিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (সংশোধিত) ২০০২ অনুযায়ী, এ আইন অমান্য করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে বাজার গুলোতে প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যবহার করা হলেও এ আইনের কোন প্রয়োগ নেই।পরিবেশ বাদীদের অভিযোগ, এ আইন বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তাদের অভিযোগ, বাজারে পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে নিয়মিত মনিটরিং নেই।

এ কারণে অসাধু পলিথিন ব্যাগ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা শহরে দেদারছে উৎপাদন করছে অপচনশীল এ সব ব্যাগ। পলিথিন তৈরির কারখানাগুলোর বেশির ভাগই পুরান ঢাকা কেন্দ্রিক। ঢাকার পলিথিন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে একাধিক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট রয়েছে।

মিরপুর, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, কামরাঙ্গীচর ও টঙ্গীতে বেশ কিছু কারখানা রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে শত শত কারখানা। এছাড়া

সর্বশেষ সংবাদ