তানোরে ৩০ চাল ব্যবসায়ী লাইসেন্সের আওতায়

তানোর প্রতিনিধি:খাদ্য মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী রাজশাহীর তানোরে শত শত খুচরা মাঝারি চাল ব্যবসায়ী থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাত্র ৩০ জন চাল ব্যবসায়ী সরকারী লাইসেন্সের আওতায় এসেছে বলে খাদ্য অফিস সুত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে । গত ৩১ অক্টোবর লাইসেন্সের শেষদিন পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ জন চাল ব্যবসায়ী সরকারী কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন । আর যে সব ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সের আওতায় আসেন নি তাদের বিরুদ্ধে যে কোন মুহূর্তে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান খাদ্য অফিস । এমনকি কোন নির্দেশনা বা সময়ের ব্যাপারে চিঠিপত্র না আসলে দ্রুত অভিযানে নেমে আইন অনুযায়ী জেল জরিমানা হতে পারে । এতে করে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব বাড়বে তেমনি ভাবে ব্যবসায়ীরা আসবেন নিয়ন্ত্রনে । জানা গেছে চলতি বছরে চাল নিয়ে দেশে চলে ব্যাপক সিন্ডিকেট । যার কারনে খাদ্য মন্ত্রনালয় দেশের সকল ধরনের চাল ব্যবসায়ীদের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে লাইসেন্স করার নির্দেশনা দেন । সে মোতাবেক উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০ জন চাল ব্যবসায়ী খাদ্য অফিস থেকে লাইসেন্স করেছেন । যারা লাইসেন্স করেছেন তাঁরা হলেন তানোর পৌর সদর গোল্লাপাড়া বাজারের চাল ব্যবসায়ী বাবুল ম-ল , আমশো মোড়ের সাদিকুল , গোল্লাপাড়া বাজারের আসগর আলী, মু-মালা বাজারের মুঞ্জুর চৌধুরী, একই বাজারের সালাউদ্দিন, হাবিবুর, সাতপুকুরিয়া এলাকার ইসমাইল, মু-মালা বাজারের হাবিবুর, একই বাজারের তরিকুল,জাহাংগির, নজরুল, গোল্লাপাড়া বাজারের সাইফুল, তেলোপাড়া এলাকার ইয়াসিন, আশরাফুল, গোল্লাপাড়ার মিঠু হলদার, বাদল সরদার,আব্দুস সালাম, সাজেদ শাহ, মু-ুমালার নাসরুন, আশরাফুল, হুমায়ন, গোল্লাপাড়ার জালাল , মিজানুর, মু-মালার রাকিবুল, আমিনুল,বিল্লি বাজারের সাইদুর, তসলিম, গোল্লাপাড়ার সমসের, দুলাল, মু-মালার সিদ্দিক । এরা নির্দিষ্ট সময়ে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ১১৫০ টাকা করে সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন। অথচ উপজেলায় আরো শতশত চাল ব্যবসায়ী থাকলেও তাঁরা নিয়মের তোয়াক্কা না করে লেননি লাইসেন্স । এনিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক জানান যারা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী লাইসেন্স করেননি তাদের বিরুদ্ধে অতিশীঘ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ