পারিবারিক দ্বন্দ্বে জের তানোরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ

সারোয়ার হোসেন,তানোর: রাজশাহীর তানোরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সজিব সরকার (১৮) নামের এক এইচ এসসি পরীক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি রাজশাহী নগরীর বি,বি, হিন্দু একাডেমী স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সে তানোর পৌর সদরের মৃত হরিপদ সরকারে ছেলে।
তার নাম রাজেন্দ্রনাথ সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সকালে বাজে বরশো (আকচা) গ্রামে। সজিব সরকার কালিগঙ্জ ডিগ্রী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। আহত ওই শিক্ষার্থীকে তানোর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সজিব সরকারের পিতা সন্তোষ সরকার বাদী হয়ে (রোববার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই ধীরেন্দ্রনাথ সরকারকে আসামী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যে কোন সময় আবারো দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, তানোর পৌর সদরের বাজে বরশো (আকচা) গ্রামে মৃত জিতেন্দ্রনাথ সরকারে ছেলে সন্তোষ সরকারের দখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের জন্য প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ সরকারও তার ছোট ভাই ধীরেন্দ্রনাথ সরকার দীর্ঘদিন ধরে নানা অপতৎপরতা করে চলেছে। এছাড়াও তারা সন্তোষ সরকারে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন কৌশলে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন। রোববার সকালে সন্তোষ সরকারে দখলীয় সম্পত্তির বাড়ি দক্ষিন পাশের্^ রাজেন্দ্রনাথ ও ধীরেন্দ্রনাথ বেড়া দিতে আসলে বাধা দেয় সন্তোষ। বাধা দেয়া মাত্রই দুইভাই সন্তোষকে কিলঘুষি মারতে লাগে। এমন সময় সন্তোষের ছেলে সজিব বাবাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে। সজিবকে এগিয়ে আশা দেখে হাতে হাসুয়া নিয়ে রাজেন্দ্রনাথ হত্যার উদেশ্যে সজিবের মাথায় কোপ মারলে, কোপটি তার বাম হাতে লাগে। আর সেই কোপের আঘাতে বাম হাতের মাঝ খানের দুই আঙ্গুর কেটে রক্তাক্ত জখম হয় সজিব।
সজিব রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তানোর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তবে তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ জানান, এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এক সাবেক কাউন্সিলর বেশী বাড়াবাড়ি করছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমাদে দুই পরিবারের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে মাত্র। এটা তেমন কোন ঘটনা নয়। কিন্তু বিষয়টিকে জটিল বানিয়ে ফেলছে স্থানীয় লোকজন। তবে হাতের আঙ্গুল টাকার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এ নিয়ে সন্তোষ সরকার বলেন, আমি কল্পনা করতে পারিনি। আমার ছেলেকে এভাবে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারবে। ছেলেটার বড় ক্ষতি হয়েগেলো। আরো কয়েকটি পরীক্ষা বাকী আছে। কেমন করে পরীক্ষাদিবে এ নিয়ে চিন্তায় রয়েছি বলে জানান তিনি।
এনিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ