রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আটক সাত জঙ্গির পাঁচজনই কলেজছাত্রী

শামসুজ্জোহা বাবু,গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা থেকে আটক জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচজনই কলেজছাত্রী। রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল্লাহ বুধবার সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আটকদের পরিচয় জানান।
তারা হলো- উপজেলার ছয়ঘাটি গ্রামের মৃত কইমুদ্দিনের ছেলে হাসান আলী (৫০), তার স্ত্রী সেফালি বেগম (৪৮), মেয়ে মারিয়া খাতুন কনা (২২), হানুফা খাতুন (২১) এবং হাসানের ভাই রেজাউল করিম কালুর তিন মেয়ে ফারজানা আক্তার সুইটি (২২), নাদিয়া সুলতানা তিশা (২১) ও রোজিনা সুলতানা কলি (২০)।
এসপি জানিয়েছেন, গোদাগাড়ীর বেনীপুরের জঙ্গি বাড়িতে যাতায়াত ছিল হাসান আলীর। তার দুই মেয়ে এবং তিন ভাতিজির সবাই কলেজছাত্রী। তাদের মধ্যে কনা ও সুইটি প্রেমতলী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আর এই কলেজে কলি পড়ে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষে। এছাড়া হানুফা রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এবং তিশা রাজশাহী সরকারি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, এই দুই পরিবারের সবাই বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলার ছক কষত। বিভিন্ন স্থানে তারা জেএমবির অন্য সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হয়ে গোপনে বৈঠকও করত। লিফলেট বিতরণ করত। তাদের সঙ্গে আরো এক জঙ্গির সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসপি।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. শহীদুল্লাহ আরও জানান, আটকদের মধ্যে দুজন গত পহেলা বৈশাখের দিন বিকেলে বোরখা পড়ে গোদাগাড়ীতে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানবিরোধী লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এর সূত্র ধরেই বুধবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে এই সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জেলা পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

সর্বশেষ সংবাদ