চট্রগ্রামে পাহাড় ও দয়োল ধ্বশে ৫ জন নহিত,

চট্রগ্রাম সংবাদদাতা :ঈদের দিন থেকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় ও দেওয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। রোববার ভোররাতে নগরীর লালখান বাজার এবং বায়েজিদ থানার আমিন কলোনিতে ঘটনা দুটি ঘটে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
লালখান বাজারের মতিঝর্ণার পোড়া কলোনিতে দেওয়াল ধসে মারা গেছেন মা-মেয়েসহ তিনজন। নিহতরা হলেন মরিয়ম বেগম (২৯), তার মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২) এবং তাদের প্রতিবেশীর মেয়ে আঁখি নুর (৫)।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরের দেয়াল ধসে পড়লে চাপা পড়েন তারা তিনজন।
অন্যদিকে রাত ২টার দিকে বায়েজিদের ট্যাংকির পাহাড়ের আমিন কলোনিতে ভূমিধসে মারা যান এক পরিবারের তিনটি শিশু। তারা হল- পাইপ মিস্ত্রি মো. শাহাজানের মেয়ে বিবি মরিয়ম (দেড় বছর), সালমা (৫) ও ছেলে আরাফাত হেসেন ফরিদ (১২)।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।শাহজাহানের বাড়ি নোয়াখালী সদরের কাশিমপুর গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে সম্প্রতি পাহাড়ে ওই অবৈধ বসতিতে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানায়।রাতে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিবারকে দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেন।
২০০৭ সালের জুন মাসে অতিবর্ষণের মধ্যে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ১২৭ জন মারা গিয়েছিল। এরপর থেকে প্রতিবছরই বর্ষায় অবৈধ বসিত উচ্ছেদে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তার পরও অনেক পরিবার লুকিয়ে এসব বসতিতে বসবাস করেন।

সর্বশেষ সংবাদ