দৌলতপুরে বজলু সর্দারকে অপহরণের পর হত্যার প্রতিবাদে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজলু (৩৬) নামে বিশ্বাস এগ্রো ফুড লিঃ এর এক শ্রমিক সর্দারকে অপহরণের পর  হত্যা করা হয়, তারই প্রতিবাদে বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আল্লার দর্গা বাজারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধনে এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করে বজলু হত্যা  বিচারের দাবী জানায়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সেলিম উদ্দীন চৌধূরী, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আছাদুজ্জামান লোটন চৌধূরী, নাহারুল ইসলাম, বজলুর স্ত্রী রোকেয়া খানুন (৩৫) ও মেয়ে স্কুল ছাত্রী লিলি খাতুন, বক্তারা জানায় এলাকার জয়ভোগা গ্রামের আজিজুলের ছেলে জিয়া বজলুকে ডেকে নিয়ে যায়, সে গ্রেফতার হলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ হত্যার আসানুরূপ দৃষ্টান্ন মূলক তথ্য দেখাতে পারেনি, পুলিশ আসামীদের আড়াল করতে চলেছে। ভ’ক্ত ভোগী পরিবারটি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে আতংকিত, বিধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার আল¬ারদর্গা চামনাই গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে বিশ্বাস এগ্রো ফুড লিঃ এর শ্রমিক সর্দ্দার বজলু ১২ মার্চ রবিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়। ১৩ মার্চ সোমবার সকালে চামনাই গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি তামাক ক্ষেতের ভিতর বজলুকে হাত-পা বাঁধা মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পেয়ে মাঠের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়, পরে সেখাকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বজলুকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে সকাল ১০টার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত বজলুর শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। দূবৃর্ত্তরা তাকে অপহরনের পর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে ও মুখে বিষ দিয়ে মৃত নিশ্চিৎ ভেবে তামাক ক্ষেতের ভিতর ফেলে রাখে। জানাগেছে গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে কেবাকারা বজলুর বাড়ীতে আগুন লাগায়ে পালিয়ে যায়, দূবৃত্তরা তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ছিল, এ ব্যাপারে সে থানায় জিডি করে ছিল। এ ঘটনায় লেবার শ্রমিক মনির ও জিয়া নামে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে এ পর্যন্ত আসানুরূপ কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি বলে পরিবারটি চরম হতাসা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ