লোমহর্ষক ঘটনার ক্লু উদঘাটনে পুলিশব্যর্থ উল্লাপাড়ায় ৮ম শ্রেণি পড়য়া ছাত্রী স্বর্ণাকে ধর্ষণের পর হত্যা

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার ঝিকিরা গ্রামের মরহুম খন্দকার হারুনার রশিদের পুত্র হায়দার আলীর একমাত্র কন্যা হুমায়রা বিনতে হায়দার ওরফে স্বর্ণা (১৪) স্থানীয় মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলে অধ্যয়নরত। বাবা মায়ের আদুরে কন্যাকে নিয়ে স্বপ্ন, বড় হয়ে সে একদিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হবে। বাবা মায়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে চূরমার। গত ২৫-০৬-২০১৮ইং তারিখ রবিবার দিবাগত রাত্রীতে এক বিভীষিকাময় অধ্যায়ের সূচনা হয়, মানুষরূপী হায়ানাদের কবলে পড়ে ১৪ বছর বয়সী ৮ম শ্রেণিতে পড়–য়া নাবালিকা স্বর্ণা। তাদের বর্বরোচিত ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু ধর্ষণ করে ক্ষ্যান্ত হয়নি চালিয়েছে অমানবিক, অপাশবিক নির্যাতন। নির্যাতনের ক্ষত বিক্ষত চিহ্ন গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান ছিল। নরপিশাচরা ধর্ষণ ও নির্যাতনের পরও ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে হত্যাকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছে। মানুষরূপী শয়তানদের এ পর্যন্ত সনাক্ত ও লোমহর্ষক ঘটনার ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। স্বর্ণার বাবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত। তিনি এ খবর পাবার পর পরদিন ঢাকা হতে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এসে বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করে। স্বর্ণার পোষ্ট মর্টেম ও ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট ঝুলিয়ে আছে। ধর্ষণের পর হত্যা এ ঘটনাকে ধামাচাপা অথবা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে এমন মন্তব্য করছে এলাকার বিজ্ঞমহল। এ ধরনের লোমহর্ষকের মত ঘটনার ক্লু উদঘাটন না হলে, ধর্ষণকারীরা সনাক্ত না হলে পুলিশ প্রশাসনের মতো চৌকস দলের বার্থতার পরিচয় মিলবে। তাই ধর্ষণের পর হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চান স্বর্ণার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

সর্বশেষ সংবাদ