কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয়

বিশেষ প্রতিনিধি: নাটোর জেলার লালপুর থানার অর্ন্তগত দশ নং কদিমচিলান ইউনিয়ন।সেই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সেকচিলান।সেখানে রয়েছে দুইটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। এবং সেখানকার একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।১৯৯৯ ইং সালে এই বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্তও এই বিদ্যালয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত।যেখানে বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে অনেক তৎপর।আজও এই বিদ্যালয় কোন ভবন পায়নি।এখানে টিনের চালা ও বাঁশের বেড়া দিয়ে শ্রেনীকক্ষ নির্মাণ করে সেখানে চলত পাঠদান। যেখানে ক্লাশ করা খুভ কষ্টসাধ্য ছিলো ছাত্রছাত্রীদের জন্য।যার ফলে বর্ষাকালে অনেক সময় ক্লাশ বন্ধ থাকত।কিন্তু গত ১৫-০৫-১৭ইং তারিখের প্রলয়কারী কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে ক্লাসরুম।উরে যায় রুমের চালা।যার ফলে বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষা কার্যক্রম। চরম ভোগান্তিতে ছাত্রছাত্রীরা।

সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এইচ এম সেলিম এর সাথে কথা বলে তিনি জানান যে তাদের বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভালো।এইবারও ২০১৭ সালের এস এস সি পরীক্ষায় ৩৫ শীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস করেছে।কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ে নেই কোন পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।গতদিনে ঝড়ে ক্লাসরুম ভেঙ্গে যাওয়ায় খুব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে অতিরিক্ত রোদ ও গরম থাকায় বাহিরে ক্লাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই শিক্ষার্থীদের সাথে তারও দাবি যেন খুভ দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করে বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম কে স্বাভাবিক করা হয় ও বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।
এছারা এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে তারা খুব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে যে আমাদের গ্রামের একটা মাত্র উচ্চ বিদ্যালয় যার আজ এই বেহাল দশা।আমরা দ্রুত এর সংস্কার চাই।এলাকার এক ব্যক্তি বলেন আমাদের বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক একজন সত ও মেধাবী মানুষ। তার প্রচেষ্ঠায় আজ অনেকে প্রতিষ্ঠিত।বিদ্যালয়ের আরো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলে হয়তবা এখান থেকে আরো অনেক মেধাবী বেরিয়ে আসবে।

সর্বশেষ সংবাদ