তাড়াশে “শহীদ সাত্তার-রেকায়েত প্রতিবন্ধী একীভূত বিদ্যালয়”-এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

এ,এইচ,খোকন চলনবিল প্রতিনিধিঃ শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহে সকল শিশুর ভর্তির সুযোগ থাকলেও প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ পদে পদে বাধাগ্রস্থ হয়ে আসছে। বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় প্রতিবন্ধী শিশুদের লেখাপড়ার বিষয়টি চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ  অঞ্চলে ব্যতিক্রম নয়। এখানে নানা শ্রেণীর মানুষের বসবাস। এ অঞ্চলে বসবাসরত প্রতিবন্ধী শিশুরা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনগ্রসর ও অধিকার বঞ্চিত। এ অঞ্চলের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাসহ সকল অধিকার সুনিশ্চিত করে মূল্যবান মানব সম্পদে পরিণত করা অতন্ত জরুরী।এই মুল্যবোধ জনতার মাঝে জাগ্রত করা জরুরী ৷
ধামাইচ বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সোমবার বিকাল ৩ ঘটিকায় “শহীদ সাত্তার-রেকায়েত (বীর মুক্তিযোদ্ধা) প্রতিবন্ধী একীভূত বিদ্যালয়”  চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর, নাটোর কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন  – তাড়াশ-রায়গঞ্জের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মহিলা আওয়াী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাঃ সম্পাদক অ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি ৷
অনুষ্ঠানে  বক্তাগন বলেন, দেশের সকল  রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে “দয়া নয় দায়িত্ব, করুনা নয় অধিকার” মনে করে প্রতিবন্ধিদের সার্বিক উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহবান জানান ৷
“শহীদ সাত্তার-রেকায়েত প্রতিবন্ধী একীভূত বিদ্যালয়”-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণ বিদ্যালয়ে একিভূত শিক্ষা ও বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঠদান করে যাচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। তাই প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হলে নিম্ন লিখিত দাবি সমূহ সরকারী-বেসরকারী সামাজিক ও পারিবারিক পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তাই প্রতিবন্ধী শিশু তথা প্রতিবন্ধী নাগরিকদেরকে ‘বোঝা নয় সম্পদ’ মনে করে সমাজের সকল ক্ষেত্রে একীভূত হয়ে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির সেবা, অধিকার ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে ৷

সর্বশেষ সংবাদ