ইলিশে ভরপুর বরিশালের বাজার

নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে না হতেই বরিশালের পোর্টরোডের কাছের একমাত্র মৎস অবতরণ কেন্দ্রটি সরগরম হয়ে উঠেছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে ইলিশে ভরপুর হয়ে উঠেছে বরিশালের এ পাইকারি বাজারটি।

এর আগে ভোর থেকে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জেলেরা পাইকারি বাজারটিতে ইলিশ নিয়ে আসতে শুরু করে। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীদের হাক-ডাক, শ্রমিকদের কর্মব্যবস্থায় মুখরিত হয়ে ওঠে পাইকারি এ বাজারটি। আর একসঙ্গে প্রচুর মাছের দেখা পেয়ে খুশি জেলে থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

পাইকার ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে নদী ও সাগরে ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। যে নিষেধাজ্ঞা শেষে ৩০ অক্টোবর রাত ১২ টা থেকেই জেলেরা মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে নদী ও সাগরে নেমে পড়েন। যদিও এখনো সাগরের মাছ অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে আসেনি। তবে নদীর ইলিশেই সকাল থেকে বাজার দখল করে ফেলেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন জানান, একসঙ্গে প্রথম দিনে এতো মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা যেমন খুশি, তেমন বাজারেও মাছের দেখা মেলায় ব্যবসায়ীরাও খুশি। এভাবে ইলিশের আমদানি থাকলে সামনের দিনগুলো জেলে-ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের ভালো কাটবে। পাশাপাশি ক্ষতিও পুষিয়ে ওঠা যাবে।

তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগর থেকে মাছ আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে নদী থেকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে থাকলে এবং সাগরের মাছও আসতে শুরু করলে বাজারগুলো ইলিশে ভরপুর হয়ে উঠবে। ফলে ইলিশের দামও কমে যাবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজ ৬০০-৯০০ গ্রামের ইলিশের পাইকারি দর মণপ্রতি ২৪-২৫ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৩০ হাজার টাকা, ১২০০ গ্রামের ওপরে ইলিশের মণ ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

এদিকে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) মৎস্য বিমল চন্দ্র দাস জানান, নদীতে প্রচুর মাছ থাকায় জেলেদের জালে প্রচুর মাছ উঠছে। তাই অল্প সময়ের মধ্যে তারা মাছ ধরে বাজারে নিয়ে আসতে পেরেছে।

সর্বশেষ সংবাদ