পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে তার মা হ্যার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে পরিবার। গত মঙ্গলবার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
গতকাল শুক্রবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুলাল নামে এক ট্রাকচালককে গ্রেপ্তারের পর বিষয়টি সামনে আসে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে গত ২৫ নভেম্বর রাতে তার মা নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের দাবি, মেয়ের এমন ঘটনা শুনে মা হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার আরও অভিযোগ করে, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে এক নারীর সহায়তায় নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
বোরহানউদ্দিন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহাইমিনুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার বোরহানউদ্দিন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় দুলাল নামে এক ট্রাকচালক ও তার সহায়তাকারী হিসেবে ইয়ানুর বেগম নামে এক নারীকে আসামি করা হয়েছে। পরে শুক্রবার ধর্ষণের অভিযোগে দুলালকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জেলহাজতে পাঠানোর আগে দুলাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে অপর আসামি ইয়ানুর এখনো পলাতক।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, শুক্রবার নির্যাতিত কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সে প্রায় ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ম. এনামুল হক জানিয়েছেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত দুলাল ট্রাক্টরে করে ইট পরিবহনের কাজ করতেন। তার বাড়ি লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জে।