বদলগাছীতে মাতিৃত্ব কালিন ভাতার কাগজপত্র জমা নিতে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ

আবু সাইদ বদলগাছী;নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ২৩২ জন মা-দের মাতিৃত্ব কালিন ভাতার কাগজপত্র জমা নিতে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। জানা যায়, উপজেলার ৮ টি ইউপিতে প্রতি ইউপির ২৯ জন কের ২৩২ জন গর্ভবতি মা ও যারা ইতি মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়ে মা হয়েছেন তাদের আগামী ২ বৎসর প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। তাদের ভাতা উত্তোলন করতে হলে নিজস্ব নামে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট করতে হবে। গত কয়েকদিন থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে মা-দের নিকট থেকে এ সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। উক্ত কাগজ পত্র জমা নেওয়ার সময় ওই দপ্তরের কর্মচারীরা প্রতিটি মা-দের নিকট থেকে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলা সহ দাপ্তরিক খরচাদির জন্য ১০০ শত থেকে ২০০ শত করে টাকা জমা নিচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তেতে গতকাল বৃহস্প্রতিবার বেলা ১২ টার সময় সরজমিনে উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরে গিয়ে গর্ভবতি মা ও ইতি মধ্যে যারা সন্তান জন্ম দিয়েছেন এমন কয়েকজন মা উপজেলার বেগুনজোয়ার গ্রামের ইমাম হোসেন এর স্ত্রী মরিয়ম বেগম , কুশারমুড়ি গ্রামের ইউনুছ আলীর স্ত্রী বিউটি, পশ্চিম বালুভরা গ্রামের সুহেল হোসেন এর স্ত্রী সাবিনার সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ করেন তাদের কাগজপত্র জমা নিতে ওই দপ্তরের লোকজন ১০০ মত থেকে ২০০ শত করে টাকা নিচ্ছে। টাকা না দিলে তারা কাগজ পত্র জমা না নিয়ে হয়রানী করছে বলে জানায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে ওই দপ্তরের কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল এর খোঁজ করা হলে তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে ধামইরহাট উপজেলায় আছেন বলে অফিসের কর্মচারীরা জানান। পরবর্তীতে প্রতিবেদক ফিরে এসে ওই দিন দুপুর ১২ টায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনরঞ্জন পাল এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। এর পর ওই দিন বিকেল ২.৪২ মিনিট এর সময় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল নিজেই এ প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন করে বলেন তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বের কারনে ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তার কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদক ঘুরে আসার পর তার কর্মচারী তাকে ফোন করে দ্রুত আসতে বলায় তিনি চলে আসেন। এবং মাতিৃত্ব কালিন ভাতার কাগজ পত্র জমা দিতে আসা মা-দের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে বলেন এক সাথে এতো গুলো ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে ব্যাংকের লোকজন ঝামেলা করে। তাদের চা-নাস্তা করাতে কিছু টাকা লাগে তাই হয়তো আমার কর্মচারীরা মা-দের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে। তবে আপনি আমার কার্যালয় থেকে ঘুরে যাওয়ার পর থেকে ১০০/২০০ টাকা আর নেওয়া হচ্ছে না। যে যা পারছে ২০-৫০ টাকা করে দিচ্ছে তাই নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ সংবাদ