হাত-পায়ের রগ কেটে নারীকে হত্যা, গ্রেফতার ২

কক্সবাজারে এক নারীকে ‘টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে’ হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্তসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ কোনাখালী আব্দুল হাকিমপাড়ার নুরুল আলম ওরফে কালাবদার ছেলে মোহাম্মদ রিদুয়ান সিকদার ওরফে হৃদয় (৩৫) এবং একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে মো. সুজন (২২)। র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার বলেন, মঙ্গলবার সকালে নির্মমভাবে হত্যার শিকার এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার এবং মামলা দায়ের পর পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাবও জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে র‍্যাব খবর পায় হত্যার ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ কয়েকজন চকরিয়ার বদরখালীতে অবস্থান করছে। এতে র‍্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারদের পেকুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের নুইন্ন্যামুইন্ন্যা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার বিল থেকে পেটে ছুরিকাঘাত এবং হাত-পায়ের রগকাটা অবস্থায় মোহছেনা আক্তার (৩৬) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি ছোরা, ১টি ভ্যানিটি ব্যাগ এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ১টি ফটোকপি উদ্ধার করা হয়। নিহত মোহছেনা কক্সবাজার পৌরসভার খাঁজা মঞ্জিল এলাকার ছাবের আহমদের মেয়ে। ঘটনার পর নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আরিফ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গত দেড় বছর আগে তার (আরিফ) বাবা মোহাম্মদ তৈয়ব মালয়েশিয়ায় মারা যান। সেখানে তার বাবার সঙ্গে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী এলাকার মোহাম্মদ রিদুয়ানের পরিচয় ছিল। তার বাবার মৃত্যুর পর রিদুয়ান দেশে আসলে তাদের (আরিফ) পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। এক পর্যায়ে রিদুয়ানের সঙ্গে তার (আরিফ) মায়ের সম্পর্ক হয় এবং গত এক বছর আগে তারা বিয়ে করেন। আরিফ আরও জানান, তবে বিয়ের পর তার মা কখনই রিদুয়ানের বাড়িতে থাকেনি। রিদুয়ানই মাঝে-মধ্যে এসে তাদের বাড়িতে থাকত। সোমবার দুপুরে রিদুয়ান টাকা দেওয়ার কথা বলে চকরিয়ায় ডেকে নিয়ে তার মাকে খুন করেছে। পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ আরিফ বাদী হয়ে মোহাম্মদ রিদুয়ান ওরফে হৃদয়কে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।