শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষাবান্ধব সরকার, ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষাবান্ধব সরকার। প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী  শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মান করেছেন। দেশের এখনো অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি আছে। সেই কাজটি? আওয়ামী লীগ সরকার করছে, আগামীতেও করতে চাই। শেখ হাসিনা আগামীতেও ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এটি আপনারা-আমরা সকলে চাই। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ ভালো, নিরাপদে ও শান্তিতে আছে। সেই কারণে আওয়ামী  লীগকে দরকার। আওয়ামী লীগের মতো অপরিহার্য দল বাংলাদেশ আর নেই।
তিনি আরো বলেন, একটি সুযোগ পেলে এবং একটু সুযোগ না পেলেও যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলে, সেই খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল গংরা বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা রির্জাভ হঠাৎ করে নাই হয়ে যাবে। তাদের মুখে ছাঁই দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ বছর ঈদের আগ পর্যন্ত প্রবাসী ভাইয়েরা ৫২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এটিই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এই টাকা তো আগেও আসার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি সরকারের সময়ে আসেনি। কারণ তখন ব্যাংকিং চ্যানেল ছিল না। এখন ব্যাংকিং চ্যানেল এতো সোজা করে দিয়েছেন আমাদের নেত্রী, প্রবাসীরা নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেল দিয়ে টাকা বাংলাদেশে পরিবারের কাছে পাঠায়।
আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘ঈদের পরে আন্দোলন হবে।’ আজ ৭ বছরেও সেই আন্দোলনের শেষ হয়নি, শুরুও হয়নি, সেই আন্দোলনের কোন খবরই নাই। বিএনপি নিজের আন্দোলন নিজেই খেয়ে ফেলে ঘরে মধ্যে ঢুকে বসে আছে। যে দলের নেতারা ঢাকায় চমৎকার বাড়ি ছেড়ে, এসি গাড়ি ছেড়ে রাজপথে সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে, পথে-প্রান্তরে দাঁড়িয়ে মানুষের সাথে কথা বলার মানসিকতা রাখে না। সেই দলের কথায় বাংলার মানুষ কান দেবে, সেটি হবে না। নিন্দুক থাকে তারা নিন্দা করবে, অপপ্রচার করে, আর জ্ঞানী লোকেরা বলেন,  আপনি ভাল কাজ করেন আপনার শত্রুর, প্রতিপক্ষের অভাব হবে না।  প্রধান মন্ত্রী অনেক কাজ করেছেন, আগামীতে  করবেন কিন্তু বিএনপির নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার করছেন, গুজব করছেন, এ সব  গুজাবে কান দিবেন না। আপনাদের প্রত্যকের উন্নয়ন হয়েছে। যে কোন সমস্যার জন্য আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি,  থাকবো ইনসাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, উপমহাদেশে আওয়ামী লীগের মতো এতো প্রাচীন ও বিশাল দল একটিও নেই। আওয়ামী লীগ বটগাছের মতো দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ছাঁয়া দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ আছে বলেই বাংলাদেশ টিকে আছে।
গোদাগাড়ীর বিজয়নগর হতে খারিজাগাথী ঈদগাঁ পর্যন্ত  রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী এসব কথা বলেন। ওই এলাকায়   পথ সভার আয়োজন করা হলেও ।  শত  শত  নারী পুরুষের উপস্থিতিতে পথ সভাটি জনসভায় রুপ নেয়। দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দীন  সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী ১ আসনের এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি।  আরো  উপস্থিত ছিলেন,  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান,    প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান,  উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ সাদরুল ইসলাম,জেলা পরিষদ সদস্য, মহিলালীগ নেত্রী কৃষ্ণা দেবী, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী,  বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাশার সুজন, কৃষকলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন, সাবেক যুবলীগ নেতা শাহীম রেজা রাজু প্রমূখ।
উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ সাদরুল ইসলাম বলেন,  ৭ শ ১৩ মিটার পিচ,  পাথর দেয়ে নির্মিত রাস্তাটিতে  ব্যয় হয়েছে  ৫৭ লাখ টাকা। কাজটি করেছেন রুদ্র ইন্টার প্রাইজ।
দেওপাড়া ইউপির  চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দীন  সোহেল বলেন,  বিগত ১০ বছরে ৬ নং ও ৮ নং ওয়ার্ডের কোন উন্নয়ন হয় নি। এ রাস্তাটি নির্মান হওয়ার ফলে এলাকার মানুষের ৩৫ বছরের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। বিজয়নগর, নাজিরপুর, নীলবোনা, গহমাবোনা, দরগার হাজার হাজার মানুষ, ছাত্র ছাত্রী, কৃষক, কৃষি শ্রমিক,  ভ্যান চালক, মসজিদের মুসাল্লীরা উপকৃত হয়েছেন।  তার ফলশ্রুতিতে গ্রমের মানুষ খুশি হয়ে এমপি মহোদয়সহ অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে,   মিষ্টি বিতরন করছেন। আগামীতে এমপি মহদয়ের নেতৃত্বে এলাকার ব্যপক উন্নয়ন করা হবে ইনসাল্লাহ।
এর পর  ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, গর্ভনিং বডির সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় করেন
 এসময় রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার  কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মোঃ শাহাদুল হক মাষ্টারের সভাপতিত্বে  উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ মোঃ সেলীম রেজা, আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ,  গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার, উপাধ্যক্ষ শহিদুল করিম শিবলী, কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সুজাউদ্দিন,  গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন, চব্বিশ নগর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব, মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুসহ কলেজের প্রভাষক, প্রভাষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ