কুড়িগ্রামের সন্তোষপুর আদর্শ দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দূর্নীতি

সাইফুর রহমান শামীম,,কুড়িগ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর আদর্শ দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭-১০-২০২২ইং তারিখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ফঁাকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর গ্রহণ করে ৩জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে নিয়োগ প্রদান করেছে। যা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা কেউই জানেন না। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাছ আলী ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণকে ভুল বুঝিয়ে ফঁাকা রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর গ্রহণ করে নিজের সুবিধা মতো কর্মকান্ড করে আসছেন। এমনকি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ে খেয়াল-খুশি মতো উপস্থিত থাকেন। অপরদিকে, এসব অভিযোগ উঠায় তিনি গত ১মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে বিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ বদিয়ার রহমান জানান, নিয়োগ কমিটিতে বিদ্যালয়ের সভাপতি পদাধিকার বলে সভাপতি। অথচ আমি সভাপতি হিসেবে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলাম না। আমার অনুপস্থিতিতে নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হইল যাহা আমাদের বোধগম্য নহে। অপরদিকে, ৪র্থ শ্রেণির ৩জন কর্মচারী কাহাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য কিংবা অন্যান্য শিক্ষকগণও অদ্যাবধি জানেন না। অভিভাবক সদস্য জাবেদ আলী জানান, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব-নিকাশ কমিটি বরাবরে দাখিল কিংবা অনুমোদন নেয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের সংরক্ষিত তহবিলের হিসাব নাম্বার, সাধারণ তহবিলের হিসাব নাম্বার, উপবৃত্তির টিউশন ফি উত্তোলনের হিসাব নাম্বার আমাদেরকে জানানো হয় না। তিনি আরো বলেন, জনতা ব্যাংকের স্টেটমেন্ট অনুযায়ী ২ লাখ ১৯ হাজার ৬শত ২৫ টাকা সাধারণ তহবিল হইতে উত্তোলন, উপবৃত্তি টিউশন ফি তহবিল হইতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪শত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়াও উক্ত প্রধান শিক্ষক বাংলাদেশ সরকারের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে কোন জাতীয় দিবস পালন করেন না এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী কথা-বার্তা বলে আসছেন। গত ১৬-০১-২০২৩ইং তারিখের ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব অভিযোগ তুলে কেন ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ তথা সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাছ আলী নিয়োগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উক্ত ৩জন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর ইতিমধ্যে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। তারা স্কুলের গ্যারেজ ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমি তাদের কাছ থেকে কোন টাকা গ্রহণ করিনি। ম্যানেজিং কমিটি আমাকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য বিভিন্নখানে আবেদন নিবেদন করছেন।

সর্বশেষ সংবাদ