বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংবাদিক সম্মেলন

গত বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী জামাত শিবিরের ডাকা সকাল সন্ধা হরতালের আগের রাতে বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের অন্যতম নেতা ও ৪নং ওয়ার্ড শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা নাঈম কে তার জহুরুল নগরের বাসা থেকে মধ্য রাতে বগুড়া উপশহর পুলিশ ফারির ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেফতার করে ফারিতে নিয়ে যায় এবং তাকে অমানষিক নির্যাতন করে। সে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয় দিলে পুলিশ আরো বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে শিবির কর্মী বানানোর পায়তারা করে। এমতাবস্থায় নাঈমের মা ও তার স্ত্রী তার খোজে ফারিতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের বিষয় অস্বীকার করে। তখন তারা বগুড়া ডিবি অফিস, থানা সহ বিভিন্ন স্থানে খোজ করে নাঈমের সন্ধান না পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পরে। পরের দিন বিষয়টি দলীয় নেতৃবৃন্দ অবগত হয়ে থানায় খোজ করলে তাকে তরিঘরি করে গত ২৮/০২/২০১৭ইং তারিখে জামাত শিবিরের একটি নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অথচ সেই মামলার এজাহারে তার নাম নেই। শুধু তাই নয়, স্থানীয় যুবদল ক্যাডার ইলিয়াস ওরফে বাবুনী কে দিয়ে তরিঘরি করে আরো একটি মামলা রেকর্ড করে সেই মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গতকাল শনিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাপ্পী এক লিখিত বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত নাঈম প্রথমে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ বগুড়া শহর শাখার সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিতন হন। এরপর সে স্বেচ্ছাসেবকলীগে যোগ দেয় এবং তার নেতৃত্বে প্রায় ৫ মাস পূর্বে ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় একটি প্রভাব শালী মহল নাঈম সহ ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের উপর চরম ক্ষুব্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিপূর্বে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আকাশের বাসায় রাতের আধারে অগ্নি সংযোগ করা হয়। কিছুদিন পূর্বে ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আকাশকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, সে প্রাণে বেচে যায়। তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় স্থানীয় যুবদল ক্যাডারদের নামে একটি মামলা হয়। নাঈমকে গ্রেফতারের পর সেই মামলার ২নং আসামী যুবদল ক্যাডার ইলিয়াস ওরফে বাবুনি কে দিয়ে পুলিশ নাঈম এবং ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আকাশ সহ ৬ জনের নামে একটি মামলা রেকর্ড করে এবং নাশকতা মামলার সাথে এই মামলাতেও পুলিশ নাঈমকে চালান দেয়। কোন তদন্ত ছারাই তরিঘরি একটি মামলা রেকর্ড করায় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। নাঈম নিয়মিত ভাবে সংগঠনের সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আসছিল। যা পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সরকারের মাননীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, রাজশাহী বিভাগীয় ডিআইজি ও বগুড়ার মাননীয় পুলিশ সুপার মহাদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, উপরোক্ত ঘটনাটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে গ্রেফতারকৃত নাঈম যদি সত্যি জামাত শিবিরের রাজনিতির সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যদি জড়িত না থাকে তাহলে নাঈমকে শিবির কর্মী বানানো সেই সব দোষি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কারন আমরা মনে করি স্থানীয় সেই প্রভাব শালী মহলের সাথে উপশহর পুলিশ ফারির ইনচার্জ এর যোগ সাজস্বে সেখানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সংগঠনকে দূর্বল করতেই নাঈম আকাশ সহ স্থানীয় নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পরে গ্রেফতারকৃত নাঈমের বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহনের ছবি সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছিমুল বারি নাছিম, শহিদ হোসেন পাশা, রওশন আলী, রায়হান শেখ, আতিকুর রহমান শুভ, মনিরুজ্জামান মনির, সাইদুল ইসলাম ফিরোজ, ফাহিম হাসান, শাহাদত হোসেন, নাঈমের মা ও তার স্ত্রী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ