দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম -৪ এ আলোচনার শীর্ষে অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম : রৌমারী -রাজিবপুর-চিলমারী নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ২৮- কুড়িগ্রাম -৪ এ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ।সারা দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারা কুড়িগ্রাম-৪ এ পৌঁছে দিতে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন “স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়তে নৌকা মার্কার হয়ে লড়তে চান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এই আইনজীবী। এলাকায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা।ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হাতে খরি এই তরুণ নেতার।মাস্টার দা সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮ তম সম্মেলনের হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেড ছিলেন।আইন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি।পরে যুবলীগে যোগ দেন এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির সদস্য।ছোট বেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি লালন করে আসছেন তুখোর এই সাবেক ছাত্রনেতা।তার দাদা এবাদুল্লাহ সরকার বৃটিশ আমলে বর্তমান ভারতের মাইনকারচর হাইস্কুলের তুরা সেন্টার থেকে মিটরাম পাশ করেন। সে সময় ভিন্ন জনসেবামূলক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল কাজের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।বৃহত্তর রৌমারী (রৌমারী -রাজিবপুর) অঞ্চলে “কনজুমার্সের ম্যানেজার” হিসেবে মনোনিত হন। ১৯২২ সালে খঞ্জনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমৃত্যু বিদ্যোৎসাহী সদস্য ছিলেন৷ ১৯৭০ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল ইসলাম(পাপু মিয়া) ও জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত মোহাম্মদ সাদাকাত হোসেন ছক্কু মিয়া এর পক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও জনমত গঠন করেন। এছাড়াও তিনি আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহ’র পক্ষে ভোটে ভুমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক সহযোগীতা করেন।যাতায়াতের জন্য নৌকা,সুষম খাবারের জন্য নিজস্ব গৃহপালিত গরু প্রদানসহ প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করেন।বিপ্লব হাসান পলাশের স্ত্রী সাবিনা আক্তার শিউলি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বেগম বদরুন্নেসা কলেজের সভাপতি ছিলেন।এখন আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য। ।এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বিপ্লব হাসান পলাশ।ছাত্র রাজনীতিতে থাকা অবস্থায় এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে নিজ উদ্দ্যোগে গড়ে তোলেন পশ্চিম খন্জনমারা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যা পরবর্তীতে সরকারী বিদ্যালয়ে পরিনত হয়।গড়ে তোলেন আর্কেডিয়ান কলেজ,এক টাকার কোচিং সেন্টার।এলাকার অস্বচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের ঢাকায় এনে কোচিং করানো সহ তাদের ফ্রি থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।এছাড়াও জনদূর্ভোগ লাঘব করতে তার সার্বিক সহযোগীতায় পশ্চিম খন্জন মারায় পরপর তিন বছর সাঁকো তৈরি করে দেন।এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে মেধাবীদের বিশেষ সন্মাননা ও বই বিতরন করেন।এছাড়াও তিনি বিভিন্ন লাইব্রেরী ও ক্লাব গড়ে তোলেন যাতে শিক্ষা ও বিনোদনের মাধ্যমে তরুণ সমাজ বিপদাগ্রস্থ না হয়ে পড়ে। মানুষের ব্যাথায় ব্যাথিত বিপ্লব হাসান পলাশ ছাত্র থাকা অবস্থা থেকে শুরু করে আজ অবধি কাজ করে যাচ্ছেন মানুষের জন্য।দূর্যোগ প্রবণ এই অঞ্চলে সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন।বন্যায় বন্যার্তদের সার্বিক সহযোগীতা করতে খাদ্যদ্রব্য বিতরনের পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প গঠণ করে উন্নত চিকিৎসা প্রদান ও ওষুধ বিতরন করেন।বিভিন্ন উৎসবের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে কাপড় ও খাবার বিতরন করেন।গৃহীনকে গৃহ নির্মান করে দেওয়া,অন্যহীনকে অন্যের যোগান, বিপদাগ্রস্থ ব্যক্তিকে বিপদ থেকে উদ্ধার যেনো তার নেশা। ক্রীড়া ক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে সবসময় পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন বিপ্লব হাসান পলাশ।তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিন উপজেলায় (রৌমারী-রাজিবপুর-চিলমারী) বিভিন্ন ক্রীড়া আয়োজিত হয় এবং বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়ারদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করেন।তার প্রতিষ্ঠিত আইন-ই-সেবা সারা বাংলাদেশে প্রাথমিক আইন সেবা বিন্যামূল্যে মানুষের পৌঁছে দিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। ওয়ান ইলেভেনে রাজপথে সক্রীয় থাকা এই নেতা ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রীয় ভূমিকা রাখেন।এই জন্য তিনি সেমিনার ও মানববন্ধনও করেন। মহামারী করোনার বিরুদ্ধে একজন সম্মুখ যোদ্ধা বিপ্লব হাসান পলাশ।নিজ উদ্যোগে মানুষের মাঝে চিকিৎসা ও খাবার বিতরনকালে তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।করোনাকালী পুরো সময়ে মানুষকে সাহয্য সহযোগীতা করেন এই নেতা। কুড়িগ্রাম -৪ এর আপামর জনতার কাছে জনপ্রিয় তরুণ এই নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন পৌঁছে দিতে উঠান বৌঠক, সভা ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি জাতীয় শোক দিবসে সারা মাস ব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ, মাদ্রাসায় বৃক্ষরোপন করে ব্যাপক প্রশংসিত হন। অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ বলেন,ছোট বেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো মানুষের সেবা করার।রাজনীতি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখান থেকে সহজেই এই কাজটি করা যায়।জনপ্রতিনিধিগণের সদিচ্ছা থাকলে তারা মানুষের খুব কাছ থেকে সেবা করতে পারে।আমি নৌকার মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।আমি মনোনয়ন পেলে কুড়িগ্রাম-৪ এ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও আধুনীকরন করবো,মাদক,সন্ত্রাস ও দখলদ্বারিত্ব মুক্ত করে সুষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবো ।নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী সমাধান ও নদী শাসনের ব্যবস্থা করবো।চরাঞ্চলের সুষ্ঠ ব্যবহার করে পর্যটন এলাকা গড়ে তুলবো,বিদ্যুৎ চাহিদা পুরনের জন্য সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। দেশরত্ন আমাকে নৌকা দিলে আমি মানুষের জন্য কাজ করবো যাবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল নাগরিক সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিবো।সর্বপরি এই অঞ্চলকে আধুনিক ও অর্থনৈতিক জোনে পরিনত করবো ইনশাআল্লাহ।

সর্বশেষ সংবাদ