বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্সদের ভাতার দাতীতে কর্মবিরতি

স্টাফ রিপোর্টার: ইন্টার্ন ভাতা আদায়ের দাবিতে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফরা কর্মবিরতি পালন করে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ২ ঘন্টাব্যাপী এ উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ব্যানার ও পোস্টার হাতে অর্ধশতাধিক ইন্টার্ন নার্স ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন।কর্মসূচিতে দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় তারা বলেন, ‘সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন বছর মেয়াদী ‘ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি’ কোর্স সম্পন্ন করেছেন তারা। এরপর বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা ও সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারা কোনো ইন্টার্ন ভাতা পাচ্ছেন না।’ইন্টার্ন নার্সদের কর্মবিরতির ওই অবস্থান কর্মসূচিতে জানানো হয়, কোর্স কারিকুলাম অনুযায়ী ছয় মাসের মেয়াদি ইন্টার্নশীপ শুরু করার জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ শিক্ষা শাখার ১৮০ নং স্মারকে প্রশাসনিক অনুমতি পায়। এ অধিদপ্তরের ৫২০ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি মঞ্জুরির জন্য ডিজিএনএম থেকে পত্র পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বাজেট অধিশাখার ৭৯৪ নং স্মারক পত্রে চাওয়া তথ্যাদি ওই অধিদপ্তরের ৬০১ নং স্মারক পত্রে পাঠানো হয়। এরপর চলতি বছরের ২৬ জুলাই ডিজিএনএম থেকে ৩৬২ নং স্মারকে ইন্টার্ন স্যালারি বরাদ্দ ও মঞ্জুরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পূণরায় অনুরোধ জানিয়ে পত্র পাঠানো হলেও এখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ইন্টার্ন নার্স রুহানা আক্তার বলেন, ‘আমাদের লগবুক এর ১৪ পৃষ্ঠায় ইন্টার্ন স্যালারির উল্লেখ থাকা সত্বেও আমরা কোনো ইন্টার্ন স্যালারি পাচ্ছি না। বর্তমানে আমাদের হোস্টেলের সুবিধাও নেই।’তিনি আরো বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ মিলিয়ে প্রতি মাসে আমাদের ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। এমন অবস্থায় আমাদের পরিবারের দিনাতিপাত করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।’এ অবস্থায় ইন্টার্ন স্যালারি সুরাহা না হওড়া পর্যন্ত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজ, বগুড়ার সকল ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফবৃন্দ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ সংবাদ