সিকিমে রাবারডেম ক্ষতিগ্রস্ত,উত্তরাঞ্চলের তিস্তা অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম-ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর উপর নির্মিত চুংথাং রাবারড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তা নদীর উজানে পানির সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ভারতের গজলডোবা ব্যারেজ পয়েন্টে পানির সমতল গতকাল মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। (সেখানে পানির সমতল ১১০ দশমিক ২০ মিটার), অন্যদিকে দোমুহুনী পয়েন্টে আজ ভোর থেকে পানি প্রায় ১১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। (বর্তমান সেখানে পানির সমতল ৮৫ দশমিক ৪০ মিটার)। বর্তমানে সেখানে দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । ডালিয়া পয়েন্টে আজ সকালে পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও বিকেলের মধ্যে তা বিপদসীমা অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বর্তমানে সেখানে পানি সমতল ৫২ দশমিক ২০ মিটার) বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যা আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত নাগাদ বিপদ সীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এর ফলে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা অববাহিকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে বুধবার বিকেল ৩ টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বিপদ সীমান নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বর্তমান পানি সমতল সেখানে ২৮ দশমিক ২৮ মিটার) আগামীকাল ভোর রাত নাগাদ তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা তিস্তা তীরবর্তী নিম্না অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী,ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ