ঘোড়াঘাটে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মেয়র সহ বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩

মাহতাব উদ্দনি আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট(দনিাজপুর) প্রতনিতিধঃ-দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার রাতে বদিউজ্জামান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার মিলন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ মোহাম্মাদ শামীম হোসেন চৌধুরীর সহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার বাদী বদিউজ্জামান উপজেলার পালশা ইউনিয়নের পালশা গ্রামে মৃত শেখ মোসলিম উদ্দিনের ছেলে। মামলার ৩ জন আসামীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বে কয়েকটি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু ও ধারালো চাকু সহ নাশকতায় ব্যবহারিত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ।

গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন,ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার ইরাদপাড়া (হঠাৎপাড়া) গ্রামের সাইদার আলীর ছেলে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হিরো মিয়া (২২), মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল মানিক (৪৫) এবং সিংড়া ইউনিয়নের পালোগাড়ী গ্রামের রজব চৌধুরীর ছেলে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী (৪২)।

মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর রবিবার রাত দেড়টায় বুলাকীপুর ইউনিয়নের কলাবাড়ী গ্রামের লাবলু মিয়ার চাতালে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। মামলার বাদী তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সেখান থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। তকে সেখান থেকে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঘটনাটি যে চাতালে ঘটেছে ওই চাতালের মালিক লাবু মিয়া। তিনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যেকোন নাশকতা ও অপতৎপরতা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

 

 

সর্বশেষ সংবাদ