তানোরে কোটি টাকার বাসভবন গুলো পরিত্যক্ত

সারোয়ার হোসেন হোসেন, তানোর’রাজশাহী’ প্রতিনিধি :রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাসভবন দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকায় অনেক ভবন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়ে উঠেছে। আবার কোনো ভবনে জীবনের ঝুঁকি অনেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। বিশেষ করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিরা জরাজীর্ণ ও শ্যাঁতশ্যাঁতে ভবনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত ১৯৮৫ সালে তানোর উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বসবাসের জন্য উপজেলা চত্বরে ৮টি আবাশিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে এ ব্লক, বি ব্লক, সি ব্লক, ডি ব্লক, ই ব্লক, এফ ব্লক, জি ব্লক এবং এইচ ব্লক প্রতিটি ভবন দ্বিতল বিশিষ্ট। এসবের মধ্যে ই ব্লক এবং এফ ব্লক দুটি আবাসিক ভবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় অনেক অগেই তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত আবাসিক ভবনগুলোর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন বসবাসের উপযোগী হলেও বাঁকি গুলোর জীর্ণদশা। এছাড়াও দ্বিতল ডরমেটরী ভবণের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বি-ব্লকের আবাশিক ভবনে বসবাসরত এলজিইডি অফিসের সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর মিরা বেগম জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে প্রায় তিন বছরে ধরে এখানে বসবাস করছেন। কিšত্ত এই সময়ের মধ্যে একটি বারের জন্যও ভবনে মেরামতের ছোঁয়া লাগেনি, অথচ প্রতি বছরই ইউএনও স্যার ও চেয়ারম্যান স্যারের ভবন মেরামত করা হচ্ছে। জানা যায়, বি-ব্লকের দ্বিতীয় তলায় দুইটি এবং নিচ তলায় দুইটি মোট চারটি পরিবার বসবাস করছে। এছাড়াও এ-ব্লকে, বি-ব্লকে, সি-ব্লকে, ডি-ব্লকে, এবং ই-ব্লকের ভবন গুলোতে ৪টি করে পরিবার বসবাস করছে তাদেরই একই অভিমত। আবার এ-ব্লক, বি-ব্লক, সি-ব্লক, ডি-ব্লকে বসবাস করছে বিভিন্ন স্কুল শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, ব্যাংকার ও উপজেলার ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। এদিকে একমাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যতিত কোনো কর্মকর্তাই উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে বসবাস করে না জেলা সদর থেকে অফিসে যাতায়াত করে এতে অনেকেই অফিস সময় মানতে পারছেন না বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, বাসভবনে বসবাসকারীদের ছোটখাটো অসুবিধা উপজেলা পরিষদ থেকে সংস্কার করা হয়। তবে বাজেট না থাকায় বড় ধরনের সংস্কার করা সম্ভব হয় না। এ বিষয়ে তানোর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাঃ শওকাত আলী জানান, কোয়ার্টারগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন, তবে বরাদ্দ এলে সংষ্কার করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ