ওমর ফারুক চৌধূরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত

সারোয়ার হোসেন,তানোর ‘রাজশাহী’ প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে, বেড়েছে বরাদ্দ ও স্বাস্থ্য সেবার মান। জানা গেছে, তানোরে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক দীর্ঘ প্রায় এক যুগ বন্ধ থাকার পর বর্তমান সরকার আবারো কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করায় জনমনে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। অপরদিকে প্রত্যন্ত পল্লী এলাকার হতদরিদ্র মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেতে শুরু করেছে। এছাড়াও ২৯ শয্যার উপজেলা হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, পদ সৃষ্টি জনবল নিয়োগ ও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে পূরাতন ভবনের সংস্কার ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট ৪টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ফটক, রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদাণের জন্য উন্নতমাণের চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ ও প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদাণের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে (টিএইচও) নতুন জীপ গাড়ি এবং রোগী পরিবহণের জন্য (এ্যাম্বুলেন্স) গাড়ী সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে তালন্দ ইউপিতে নতুন সাব-সেন্টার ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। আওয়ামী লীগের আট বছরে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রায় চারগুনের বেশি উন্নয়ন হয়েছে। এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পূনরায় চালু হওয়ায় প্রত্যন্ত পল্লীর সাধারণ মানুষের মধ্যে রীতিমতো উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) কর্মসূচির আওতায় তৃণমুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় তানোরেও ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। বাংলাদেশ সরকার, ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সী ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর অর্থায়নে প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। তানোরে ওই সময় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করায় প্রত্যন্ত এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠি উত্তম স্বাস্থ্যসেবা পেতে শুরু করে। ফলে এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দেয়। ক্লিনিকগুলোতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী, একজন ফার্মাসিষ্ট, একজন পিয়ন ও একজন আয়া নিয়োগ দিয়ে এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। চিকিৎসা সেবা পরিচালনার জন্য ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণ ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলোর আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিলে ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে বর্তমান সরকার আবারো ক্লিনিকগুলো চালু করলে গ্রামীণ জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তানোরের শুকদেবপুর গ্রামের আফসার উদ্দিন (৪৫) বলেন, বিগত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা চরম সঙ্কটের মূখে পড়ে। যে কারণে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় এতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষকে অবর্নীয় দুর্ভোগের পাশাপাশি অর্থিক ক্ষতি ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হতো। এসব ক্লিনিকগুলো চালু করায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা আবারও দৌরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পেতে শুরু করেছে। এ ব্যাপারে তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএইচও) ডা, রোজীআরা খাতুন জানান, তৃণমুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো আবারো চালু করা করায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পেতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আট বছরে স্বাস্থ্য খাতে প্রায় চারগুন বেশি উন্নয়ন হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ