মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট,(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় জমির অপরিপক্ব গমের চারা কেটে গোখাদ্য হিসেবে বিভিন্ন হাট–বাজারে বিক্রি করায় উপজেলা কৃষি বিভাগ উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজার ঘাসের হাটে এক অভিযান পরিচলনা করেছে।রোববার বিকেলে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি মোঃ মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুজ্জামান,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোছাঃ উম্মে সালমা বেগম, উপজেলা উপ–সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোমদেল হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।।এ সময় অপরিপক্ক গমের চারা না কাটতে গমচাষীদের উদ্বুদ্ধ করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার মাহমুদুল হাসান। ব্যাপক হারে এ প্রবণতা শুরু হওয়ায় দেশে খাদ্য নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করেন তিনি।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জাজ বাজারসহ আশপাশের বাজারে এমন দৃশ্য কয়েক দিন ধরে দেখা যাচ্ছিল। এতে গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা করেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় গমের আবাদ এক–তৃতীয়াংশ কমেছে। এখন ক্ষেতে থেকে বাড়ন্ত গমের চারা কেটে বিক্রি করা হলে উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
গমের শীষ সবেমাত্র বের হয়েছে, আবার কোথাও শীষ বের হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। উপজেলার,মগলিশপুর,মারুপাড়া,রামপাড়া,নারায়ণপুর,ডাঙ্গা,জয়রাম,কৃঞ্চরামপুর,সেখালীপাড়া,চাঁদপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে গম চাষীরা বাড়ন্ত গমের চারা জমি থেকে গোড়া থেকে কেটে আঁটি বেঁধে তা রাণীগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি হিসেবে বিক্রি করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, কিন্তু চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টরে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এমনিতেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আবাদ করা হচ্ছে। এর ওপর যদি কাঁচা অবস্থাতেই কেটে গো–খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে গম উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে। কৃষকেরা কাঁচা গমের গাছ কেটে বিক্রি যেন না করে এই জন্য তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।মাঠ পর্যায়ে সকলের সঙ্গে এ বিষয় কথা বলবেন বলে জানান তিনি।