রাজশাহীর মোহনপুরে ইপিআই কার্ডের তালিকার ২ পাতার ফটোকপি ৪০ টাকা

রাজশাহী (মোহনপুর) প্রতিনিধি : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধুরইল কমিউনিটি ক্লিনিক হতে নবজাত শিশুর রেজিস্ট্রেশন ও টিকাদান তথ্য (ইপিআই) কার্ডের তালিকার ফটোকপি নিতে প্রতিটি শিশুর অভিভাবকের কাছ থেকে জিম্মি করে ৪০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অবৈধভাবে টাকা নেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রায় শতাধিক মহিলা গতকাল কমিউনিটি ক্লিনিকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার সরেজমিনে কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে ইপিআই তালিকার ফটোকপি নিতে আসা মহিলা অভিভাবকদের সাথে বলে জানা গেছে, ধুরইল কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি আলমগীর হোসেন পাঁচদিন ধরে নবজাত শিশু রেজিস্ট্রশন ও টিকাদান তথ্য (ইপিআই) নামের তালিকার ফটোকপি দিতে ৪০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। অবৈধভাবে টাকা নেয়ার প্রতিবাদ করলে উল্টে মহিলাদের সাথে খারাপ আচরণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফটোকপি নিয়ে আসা ভুক্তভোগী ধুরইল পূর্বপাড়া গ্রামের লিপি আক্তার, ছেলে-মেয়ে দুইজনের ফটোকপি নেয়ার জন্য ৮০ টাকা জমা দিয়েও ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে জানান। ফজিয়া বেগম নামের একজন মহিলা তার নাতীর ইপিআই তালিকার ফটোকপি নিতে এসে ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি আলমগীর হোসেনের আর্থিক নির্যাতনের শিকার হন। অনেক ভুক্তভোগী জানান তার থেকে ঔষধ নিতে আসা মহিলাদের সাথেও তিনি বরাবর অশালীন আচরন করে আসছেন। সিএইচসিপি আলমগীর স্থানীয় বাসিন্দা হয়ে চাকুরী করায় তার ব্যাপক বেপোরোয়া আচরনে সেবা নিতে আসা মহিলারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
সিএইচসিপি আলমগীরের অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের বিষয়ে ধুরইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে, বরং তিনিও সেবা নিতে আসা মহিলাদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের স্বপক্ষে পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং এ বিষয়ে কোন কথা না বলেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ সাংবাদিকের সঙ্গে মারমুখি আচারণ করেন।
মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গৌতম কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। ঘটনার সত্যতার প্রেক্ষিতেই ইতোমধ্যে ধুরইল কমিউনিটি ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট ফাইলপত্র ক্লোজ করে নেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত কর্মরত সিএইচসিপি আলমগীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ।

সর্বশেষ সংবাদ