তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিয়োগ নিয়ে এসব অপপ্রচার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। আর এসব অপপ্রচারের নেপথ্যে কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে জনসাধারণ। জানা গেছে, সম্প্রতি তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটরের (শূণ্য) পদ পুরুণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে বিজ্ঞপ্তি আহবান করে। এদিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে উক্ত পদের জন্য এলাকার মোট ১২ জন প্রার্থী দরখাস্ত করেন। অপরদিকে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর বৃহ¯প্রতিবার তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এতে ৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদেরও দেখা গেছে। এদিকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ফলাফল এবং মেধার ভিত্তিত্বে উক্ত পদে নিয়োগ পেয়েছেন তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল সরকার অমি। ওদিকে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় চাকরি বঞ্চিত প্রার্থীদেরই কোনো আপত্তি বা অভিযোগ নাই, নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে তারাও খুশি।
স্থানীয়রা জানান, একটি বিশেষ মহলের কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে একশ্রেণীর গণমাধ্যম কর্মীরা পরের দিন ফলাও করে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার অবৈধ হস্তক্ষেপে নাশকতা মামলার আসামিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ও বানোয়াট এমন খবর প্রকাশ করায় এসব গণমাধ্যম কর্মীর মানদন্ড নিয়েই জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অথচ স্কুল পরিচালনা কমিটি বা নিয়োগ বোর্ড এসব কোনো কিছুর সঙ্গেই এমপি বা যুবলীগ সভাপতির কোনো সম্পৃক্ততা নাই। তাহলে তারা কি ভাবে অবৈধ হস্তক্ষেপ করলেন এই প্রশ্ন সাধারণের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সৎ, কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী এবং যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ক্ষুন্ন করতেই এমন অপপ্রচার করা হয়েছে। আর এসব অপপ্রচার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পক্রিয়া যথাযথ নিয়ম অনুসারে করা হয়েছে অনিয়ম ও দূর্নীতির কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ উঠতেই পারে, তবে আদালত কর্তৃক দোষী প্রমাণ না হলে কাউকে দোষী বলা যাবে না। এছাড়ও প্রার্থীদেরই কোনো অভিযোগ নাই কাজেই এমন খবর প্রকাশ দুঃখজনক ঘটনা। এব্যাপারে তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইউব আলী বলেন, কোনো তথ্য-প্রমাণ বা যুক্তি সংগত কারণ ছাড়াই যদি কেউ কিছু লিখেন তাহলে কিছু করার নাই, নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে। এব্যাপারে তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি তারেক সরকার বলেন, এতো স্বচ্ছতার সঙ্গে এর আগে তিনি কখনো কোনো নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হতে দেখেননি। তিনি বলেন এই নিয়োগ পক্রিয়ার সঙ্গে এমপি মহোদয় বা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কোনো ভাবেই সম্পৃক্ত নয়, এর পরেও যদি উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত হয়ে কেউ কিছু লিখেন তাহলে সেটা দুঃখজনক ঘটনা।
