জমি বন্ধক নিয়ে তানোরে আদিবাসীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধিঃরাজশাহীর তানোরে মোজাম্মেল নামের এক ভুমি দস্যুর বিরুদ্ধে আদিবাসীর জমি বন্ধকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে । উপজেলার পাচন্দর ইউপির যশপুর গ্রামে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা । টাকা আদায়ের জন্য আদিবাসি সুজন এক্কা উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে গত ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে লিখিত অভিযোগ দেন । অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরপর চারবার নোটিশ করে রহস্যজনক কারনে পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও হয়নি টাকা আদায় । ফলে টাকা আদায়ের জন্য অসহায় আদিবাসী সুজন এক্কা দ্বারেদ্বারে ঘুরেও না পারছেন টাকা আদায় করতে না পাচ্ছেন জমি চাষাবাদ করতে । অভিযোগে উল্লেখ উপজেলার পাচন্দর ইউপির বিনোদপুর গ্রামের আদিবাসী বিরেন এক্কার পুত্র সুজন এক্কা একই ইউপির যশপুর গ্রামের মৃত আছিমদ্দিনের পুত্র মোজাম্মেলের কাছ থেকে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারী এক বছরের জন্য সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ৪০ হাজার টাকায় বন্ধক নেয় । বন্ধক নেবার সময় ১০০ টাকা ৪০ টাকা ও ১০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখা পড়া করা হয় । কিন্তু মোজাম্মেল নিজের জমি না দিয়ে চতুরি পনা করে বহিরাগত ব্যাক্তির দখলে থাকা জমি বন্ধক দেয়। এঅবস্থায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আদিবাসী সুজন এক্কা চাসাবাদ করেছে । তারপর থেকে বহিরাগত ব্যাক্তি আদিবাসীর কাছ থেকে মোজাম্মেলের মাধ্যমে জমির দখল বুঝিয়ে নেয় । আদিবাসী সুজন এক্কা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে এক বছর পর আমার টাকা ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলে নেয় মোজাম্মেল । কিন্তু আমার টাকা ফেরত দিচ্ছেনা । ২০১৬ সালের পর থেকে একাধিকবার সময় নিয়েও টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে হুমকি দিচ্ছে । বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ১ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করি । অভিযোগ দেবার পর চারবার নোটিশ জারি করলেও রহস্যজনক কারনে হয়নি টাকা আদায়। নির্বাহীর দপ্তরের পিয়ন নোটিশ ধরিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। আমি আদিবাসী সম্প্রদয় আমি অসহায় এজন্য আমার টাকার কোন মুল্য নেই। এটাই যদি মুসলমান দের হত তাহলে কবে টাকা উত্তোলন হয়ে যেত । এমন কি পাচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের যশপুর এলাকার মেম্বার সহিদুলকেও একাধিকবার বলেছি টাকা পাওয়ার বিষয়টি । কিন্তু কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেনা আমার কথায় । অভিযুক্ত মোজাম্মেল টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান অল্প দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়া হবে । টাকা ফেরত না দিয়ে জমি কিভাবে ফেরত নিলেন জানতে চাইলে তিনি জানান আগামী ২৩ এপ্রিলে ইউএনওর দপ্তরে বসার কথা রয়েছে । আগামী জুন মাসের দিকে টাকা দেয়া হবে বলে এড়িয়ে যান ।এনিয়ে ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম জানান আমাকে বলার পর সুজন এক্কাকে পরিষদে বিচার দিতে বলেছিলাম এবং মোজাম্মেল কে টাকা দিতে বলেছি । তারপর কি হয়েছে জানা নেই ।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ শওকাত আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে নোটিশ করা হবে সে যদি না আশে আমরা লিগ্যাল এইডে পাঠানো হবে । সেখান থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি ।

সর্বশেষ সংবাদ