ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরে মাদক চোরাচালান বাণিজ্য

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ ঈদকে সামনে রেখে রমজানে দিনাজপুরের দনি পূর্ব অংশের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক পাঁচারে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য হচ্ছে। ঈদে অধিক বেচা-কেনা তথা লাভের আশায় ইতিমধ্যে দামী মদসহ হেরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল পাচারে নেমে পড়েছে মাদক চোরাকারবারী সিন্ডিকেট দল। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলে মাদক পাচারে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১৫থেকে ২০ কোটি টাকা। টাকার বিনিময়ে স্থানীয় চোরাকারবারী নারী-পুরুষ এমনকি শিশুদেরও এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও হাকিমপুর সীমান্তে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে চোরাই পথে দামী মদসহ হেরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল আনছে। পাচার হওয়া এসব মাদক দ্রব্য বিভিন্ন রুট হয়ে বগুড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে। ুদ্র ুদ্র দলে ভাগ হয়ে ফেনসিডিল চোরাচালান করছে স্থানীয় চোরাকারবারীরা। আর ফেনসিডিল পাচারের সুবিধার জন্য ট্রাক, বাস, কোচ, মাইক্রো, কার, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন বেছে নিচ্ছে চোরাকারবারীরা। ভারতের সীমান্ত বেয়ে যে পরিমাণ মাদক দ্রব্য পাচার হয়ে আসছে পুলিশ, বিজিপি র‌্যাব সদস্যরা তার মাত্র ১৫ থেকে ২০ ভাগ আটক করতে সম হলেও ৮০ভাগ থেকে ৮৫ ভাগ মাদক দ্রব্য বিভিন্ন রুট দিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
জানা যায়, মাদক চোরাচালানের জন্য এ অঞ্চলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র গড়ে তুলছে চোরাকারবারীরা। এ সিন্ডিকেটের সুন্দরী তরুণীদের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে তাদের শরীর এবং ভ্যানিটি ব্যাগে ফেনসিডিলের বোতল ভরে বোরকা পরিয়ে মটরসাইকেলের পিছনে বসিয়ে ফেনসিডিল আনা নেয়া করছে। দেখলে মনে হয়, বাবার বাড়ি থেকে রমনীরা স্বামীর সাথে মোটর সাইকেলের পিছনে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। এদিকে মাদক চোরাকারবারীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোতে এসে আবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থান নিয়ে অর্থ যোগানসহ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করছে । এসব চোরাকারবারীরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন যানবাহন,মালামাল ও সবজিবাহী ট্রাক চালকদের সঙ্গে আপোষরফা করে মাদককের চালান দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন সময় মাদক চোরাকারবারীরা নিজেরাই সবজি কিনে ট্রাক ভর্তি করে ফেনসিডিল চোরাচালান করছে। চোরাকারবারীরা হেরোইন,ইয়াবা ও ফেনসিডিলের সাথে দামী মদ পাচার করছে। গত রমজানে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা একাধিক সবজি ভর্তি ট্রাক ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর বাজারে আটক করে তলাশি চালিয়ে হেরোইন, ইয়াবা,ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে। এ অঞ্চলে এ মাদক পাচারে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। রমজানের পুর্বে থেকে মাদক চোরাকারবারীরা সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের মজুদ গড়ে তুলেছে। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন যানবাহন থেকে বিপুল পরিমান মাদকের চালান আতক করেছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাদক চোরাকারবারীরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে চোরাচালান চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় এ সবের বেশির ভাগই ধরা পড়ছে।

সর্বশেষ সংবাদ