ঘোড়াঘাটের শিলার প্রতারনার বিছানো বিয়ের ফাঁদে আরো ৩ ব্যক্তি সর্বশান্ত

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আলোচিত আবিদা সুলতানা শিলা তার প্রতরনার বিছানো বিয়ের ফাদে পড়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শামছুর রহমান কাজল ছাড়াও আরও যুবক সহ ৩ ব্যক্তির নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করেছে। জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর এলাকার আমিনুল ইসলামরে মেয়ে আবিদা সুলতানা শিলা তার রূপ ও যৌবনের রস বিলিয়ে প্রথমে দিনাজপুর জেলা সদর বালুবাড়ী এলাকার মোকসেদ আলী খানের পুত্র মারুফ খানকে তার প্রতরনার ফদে ফেলে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করে। কিছু দিন যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে ফাসাদ সৃষ্টি করে দাম্পত্তের ইতি ঘটিয়ে আদালতে মামলা ঠুকিয়ে দেয়। মারুফ খানকে মামলায় ঝুলিয়ে রেখে সে ঠাকুরগাঁও সদর আফসার আলী নামের এক যুবকে ফাদে ফেলায়। তার প্রতরনার ফাদ থেকে পলায়ন করতে না পেরে অবশেষে বিয়ে হয়। তার টাকা পয়সা ও মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে তাকেও তালাক প্রদান করে মামলা ঠুকিয়ে দেয়। মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। মোটা অংঙ্কের টাকা নিয়ে। ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর সদরে প্রতরনা করে বিয়ে করা হয় তার মা নার্স সাহেরা বেগমের হাসপাতালে চাকুরী করার সুবাদে। যখন তার মা সাহেরা বেগম বদলি হয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত কারণে ওসমানপুর শ্যামপুর এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস এবং আবিদা সুলতানার এলাকায় বেপরোয়া চলা-ফেরার কারনে তার খপ্পরে পরেন খেদাদপুর কলনী আব্দুল আজিজ। শিলার সংঙ্গে অবশেষে বিয়ে এবং সিঞ্জিজ নামের একটি পুত্র সন্তান। আজিজের সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে তাকে তালাক প্রদান করে। এর পর টার্গেট করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামছুর রহমান কাজলকে। ওসমানপুর সিটি ডায়াগনষ্টিক সেন্ টারে রোগী দেখার সুবাদে অবস্থান করা কালে আবিদা সুলতানা যাওয়া আসা শুরু করে। ডাক্তার সাম্সুর রহমান কাজল স্ত্রী সন্তান দেশের বাড়ী লক্ষিপুর জেলা সদর রেখে একাকী বসবাস করার করনে এ সুযোগ নেয় শিলা। ডাক্তার সামসুর রহমান কাজল তার কুমতলব বুঝতে পেরে শিলা থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করলে ডাক্তার কজলকে তার মোবাইলে নারী ও পুরুষ কন্ঠে হুমকি প্রদান করেন।মোবাইলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন এবং ডাক্তার কাজলকে কমর্স্থল হতে বদলী করার হুমকি দেয়।এ ব্যপারে ডাক্তার কাজল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ঘোড়াঘাট থানায় গত ২৯-০৫-২০১৫ ইং তারিখে শিলার বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী করেন। যার ঘোড়াঘাট থানার জিডি নং- ১২২৬। ডাক্তার শামছুর রহমান কাজল গত ৩১-০৫-২০১৫ইং তারিখে রংপুর ব্রাক লার্নিং সেন্টারে কন্ফারেন্স শেষে বিকেলে দর্শনা মোড় নামক স্থানে দুটি মোটরসাইকেলে তাকে অপহরন করে একটি ম্যাসে আটক রেখে অস্ত্রের মুখে সাদা কাগজ ও নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ও কাবিন ন্মাায় স্বাক্ষর নেয়। এবং ডাক্তার শামছুর রহমান কাজল এর নিকটে শিলাকে বসিয়ে রেখে একাধিক ভিডিও ও ছবি উত্তোলন করেন। উল্লেখ্য ডাক্তার শামছুর রহমান কাজলকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে শিলা গায়ে হলুদ মেখে ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী সহ ডাক্তার শামছুর রহমান কাজলকে অপহরন করে ঐ ম্যাসে নিয়ে যায়। ডাঃ শামছুর রহমান কাজল গত ০২-০৫-২০১৫ ইং তারিখে রংপুর কোতয়ালী থানায় মামলা করে। মামলা নং-১১/৪৬৬। নিজের গা বাচাঁতে শিলা ডাঃ শামছুর রহমান কাজল এর বিরুদ্ধে দিনাজপুর আদালতে শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে যৌতুকের মামলা করে।

সর্বশেষ সংবাদ