দৌলতপুরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগ ॥ বিচার দাবি

দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলদপুরে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয় নিয়ে স্কুল মিক্ষার্থীরা বিচারের দাবী জানিয়েছে। গত ৩ এপ্রিল সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শশীধরপুর গ্রামবাসী ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে পুলিশের হস্তক্ষেপে। জানাগেছে স্থানীয় বিডিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমকামীতার চেষ্টা, এক্ষেত্রে সফলতাও পেয়েছে সে। স্কুলটির শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ গ্রামের আফফান মন্ডলের ছেলে বিডিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মেহেরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই তার শিক্ষার্থী ছেলেদেরসহ এলাকার অন্যান্য পুরুষ শিশুদের সাথে সমকামীতাপূর্ণ আচরণ করে আসছেন। মেহেরুল্লাহর বয়স প্রায় ৫০ বছর, অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেরুল্লাহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পণ,আকাশ,রনি, সেন্টু সংবাদকর্মীদের কাছে দেয়া বক্তব্যে জানিয়েছে– অভিযুক্ত শিক্ষক তাদেরকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে সমকামীতায় আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে, কাছে পেলে নিজের যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করে উত্তেজনা সৃষ্টিতে বাধ্য করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ জানায়, তার সাথে এ ধরনের কাজে লিপ্ত না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়া ও ক্লাসে পেটানোর মতো ভয় দেখায়। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন এ ধরনের কাজের তথ্য সংগ্রহ করে ফেলে। বিপাকের শুরু হয় সেখান থেকেই পরে শিক্ষক মেহেরুল্লাহ’র চরিত্রের লাগাম আর আটকে রাখতে পারেনি। রাতারাতি ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। শিক্ষার্থীরা বলেন– মেহেরুল্লাহ মাস্টারের এধরনের কাজের কথা তারা আগে থেকে জানলেও ভয় ও লজ্জায় এত দিন কাউকেই জানায়নি।
এবিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো:ইয়াকুব আলী বলেন, বিষয়টি অবশ্যই নিন্দনীয়, তবে সত্যতা যাচাইয়েরও প্রয়োজন আছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ এলে ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে বসে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শশীধরপুর গ্রামের বুলবুল আহম্মেদ বলেন– বিষয়টি আমার জানা ছিলনা সকালেই জেনেছি। আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে মোটেও আশ্বস্ত হয়নি অভিযোগকারীরা। ঘটনার ধারাবাহিকতা এসে ঠেকে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে। সোমবার এলাকাবাসী এবং ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ জমা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুর রহমান অভিযোগকারীদের লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি ভূক্তভোগী শিশু-কিশোরদের কথা শোনেন এবং বিভিন্ন প্রমাণ দেখে-শুনে তাৎক্ষনিক ভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ঐ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের জন্য নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আজগর হোসেন জানান– আমরা ঘটনাটি মোবাইল ফোনে শুনেছি, তারপর সকালেই ফোর্স পাঠিয়েছি, যদিও এখনও লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি,তবুও আমরা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ