সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙ্গণে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি নদী গর্ভে

আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর তীব্র ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তার ভাঙ্গণে বসতবাড়ি ও উঠতি ফসলসহ শতাধিক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার হরিপুর, চন্ডিপুর, কাপাসিয়া ও বেলকা ইউনিয়নে তীব্র ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ী, ভাটি বোচাগাড়ী, উজান বুড়াইল, হরিপুর খেয়াঘাট, কাপাসিয়া ইউনিয়নের কেরানিরচর, ফকিরের চর, কালাই সোতার চর এলাকায় ভাঙ্গণের তীব্রতা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে হরিপুর ইউনিয়নে ৫০টি পরিবারসহ শতাধিক একর আবাদি জমির উঠতি ফসল তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসতবাড়ি ও গাছপালা হারিয়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম জানান- বৈশাখের শুরু থেকে অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। পানি কম হওয়ায় োতের বেগ বেড়ে যাওয়ায় এই ভাঙ্গণ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে ৫০ একর জমিসহ ১০টি পরিবার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুুরুন্নবী সরকার জানান- বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ