অসহায় , গরিব দুঃখী ও বিধবা নারীর কান্না থামালেন সাইফুল ইসলাম

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ডের ধিরাশ্রম গজারিয়া গোরস্থানের পাশেই ছিল বিধবা আনোয়ারা বেগমের একটি টিনের ঘর। গত কয়েক মাস আগে হঠাৎ কয়েলের আগুন লেগে পুড়ে যায় তার ওই ছোট্ট টিনের ঘরটি। সেই আগুন যেন শুধু আনোয়ারা বেগমের ঘর পুড়িয়ে দেয়নি পুড়িয়ে দিয়েছিল তার জীবন ও স্বপ্ন । স্বামী হারা বিধবা আনোয়ারার ওই ঘরটি ছিল তার মাথা গোঁজার এক মাত্র ঠাই যখন তাও পুরে যায় তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো । আনোয়ারার হাতে গাছের নিচে মাথা গোঁজা ছাড়া কোনও পথ খোলা ছিল না। তার এই করুন অবস্থায় তাকে যখন সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি তখন আনোয়ারা নিজেই ছুটে চলল মানুষের দুয়ারে দুয়ারে একটু সহযোগিতার আশায়। এমন কি সে ওই এলাকার স্থানিও জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালিদের কাছেও সাহায্য ভিক্ষা চায় । অনেকেই তাকে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার ও আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু আশ্বাস শুধু আশ্বাস পর্যন্তই বাস্তবে কোনও সহযোগিতা সে পেল না । এর মাঝেই কেটে যায় দেড় থেকে দুই মাস সময় । এই দিকে দিনের পর দিন না খেয়ে মানুষের বাসায় ঘুরে ঘুরে দিন কাটাতে থাকেন সেই আনোয়ারা ।গত ২৮শে মে স্থানীয় সরকারি স্কুলের একটি প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হয়ে আসলেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১নং যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম (সাইফুল)। ওইখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বর্তমান কাউন্সিলর অন্যান্য নেতা এলাকার জনগন ।ওই অনুষ্ঠান চলাকালীন অবস্থায় উনি জানতে পারেন আনোয়ারার দুঃখের ইতিহাস ও বাড়ি হারানোর ঘটনাটি । সাইফুল সম্পূর্ণ ঘটনা জানার পর ওই মুহূর্তেই অনুষ্ঠান ছেড়ে ছুটে জান ওই মহিলা সাথে দেখা করতে তার পুড়ে যাওয়া ঘরটি দেখতে ।পুড়ে যাওয়া বাড়িটির ধ্বংসস্তুপের পাশেই বসে ছিলেন আনোয়ারা বেগম। সাইফুল তার সাথে কথা বলতে গেলেই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন আনোয়ারা , সাইফুল তার মাথায় হাত দিয়ে বলেন মা আমি আপানাকে কথা দিলাম আমি আপনার এই বাড়ি করে দিব । ওই মুহূর্তেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকার জনগনের উপস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম কোদাল দিয়ে মাটি খুরে দিয়ে বাড়ির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং তার পর দিনই বাড়ি নির্মাণের লক্ষে ট্রাক দিয়ে ইটা ,বালি ও সিমেন্ট পাঠিয়ে দেন । সাথে সাথে তিনি সার্বিক দায়িত্ব দেন পুবাইল যুবলীগ নেতা “মামুনুর রশিদ ভুইয়া ” কেযুবলীগ নেতা “সাইফুল ইসলাম” এর সম্পূর্ণ সহযোগিতায় বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ । মাথার উপরে ছাউনি পেলেন “আনোয়ারা বেগম” এ ব্যাপারে স্থানীয় জনতা ও প্রতিবেশীরা জানায় , আনোয়ারা বেগম একজন অসহায় , গরিব দুঃখী ও বিধবা নারী। মানুষের বাসায় কাজ করে খায় । “সাইফুল ইসলাম” ভাই তাকে বাড়ী নির্মাণ করে দেওয়া তারা অনেক খুশি । এর সাথে এলাকা বাসির দাবি যেন সরকার থেকে আনোয়ারা বেগম কে ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় ।বিধবা আনোয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান , তিনি অনেক জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেছেন , অনেকেই আশা ও দিয়েছে তবে কেউ ঘর বানিয়ে দেন নি । সাথে সাথে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন । তিনি বলেন “সাইফুল ইসলাম” একজন ভালো মানুষ তিনি তাকে চিনতেন না কিন্তু তবুও তার দয়ায় সে আবার ঘর পেয়েছেন । অনেক সময় কান্না কাটির পর আনোয়ারা বলেন আমি দোয়া করি “সাইফুল” যেন তার মত এমন মানুষদের আরো বেশি বেশি সাহায্য করতে পারেন । তার ছেলে নেই সাইফুল ই তার ছেলে । তিনি আরো বলেন পুবাইল থানা যুবলীগ নেতা মামুনর রাশিদ ভুইয়া অনেক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অনেক প্রতিকুলতা থাকা সত্তেও দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র ১৫-২০ দিনেই বাড়ি নির্মাণ করেছে । অসহায় আনোয়ারা পেল এই ঈদের আগেই একটুকু মাথা গোজার ঠাই ।আরো খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের ১নং যুগ্ন আহবায়ক “সাইফুল ইসলাম” এর উদ্যোগে গাজীপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে । তিনি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরো কয়েকটি ওয়ার্ডে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন ।আমাদের সবারই রাজনীতিবিদদের প্রতি একটা নেতিবাচক ধারনা আছে । কিন্তু যুবলীগের সাইফুল ইসলামের কথা শোনার পর মনে হল বাংলাদেশে এখনও কিছু রাজনীতিবিদদ আছে যারা সাধারন মানুষের কথা ভেবেই রাজনীতি করে সুখে দুখে মানুষের পাশে দারায়। এই রকম যদি আমাদের দেশের বিত্তবান শ্রেণী আর রাজনীতিবিদরা মানুষের পাশে দাঁড়াত তাহলে আমাদের এই গরিব দেশটির চেহারাটাই হয়ত বদলে যেত । হয়ত সাধারন মানুষ আবার ও ভরসা ফিরে পেতো রাজনীতিবিদদের উপর।

সর্বশেষ সংবাদ