ধুনটে মিথ্যা অভিযোগ থেকে সন্তানের মুক্তি চাইলেন বাবা

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি. বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিলকাজুলী গ্রামের ভ্যান চালক বৃদ্ধ মোংলা মন্ডল মিথ্যা অভিযোগ থেকে অসহায় পুত্রের মুক্তির আবেদন করেছেন। তাঁর ছেলে মিন্টু মিয়া (২৬) পেশায় পরিবহন শ্রমিক। তাঁর বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন পেঁচিবাড়ী গ্রামের মৃত ফরিদ শেখের স্ত্রী মনিজা বেওয়া। রোববার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মিন্টু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবী জানান মোংলা মন্ডল।

সাংবাদিক সম্মেলনে মোংলা মন্ডল জানান, তাঁর বড় ছেলে মিন্টু মিয়া পরিবহন শ্রমিক। ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মামলার বাদী মনিজা বেওয়া’র বড় মেয়ে ফওমী খাতুন ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মিন্টু মিয়া যে ট্রাকে চাকুরী করেন, ওই ট্রাকে ফওমী খাতুন ঢাকায় যাওয়া আসা করতেন। এদিকে প্রায়ই বাড়ী থেকে বোনের কাছে ওই ট্রাকে যাওয়া আসা করতেন মনিজা বেওয়া’র ছোট মেয়ে পারুল খাতুন (১৬)। ওই ট্রাকে যাওয়া আসার সুবাধে চালক শেরপুর উপজেলার খন্দকারপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সুলতান মাহমুদের (৩২) সাথে পারুল খাতুনের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। গত ১৯ অক্টোবর’ ২০১৬ তারিখ বাড়ী থেকে ভালবাসার টানে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় পারুল খাতুন। অথচ মনিজা বেওয়া গত ১ জানুয়ারী বগুড়ার আদালতে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মিন্টু মিয়াকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। গত ২৭ জুন (মঙ্গলবার) ধুনট উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামে ফুফাতো বোনের বাড়ী থেকে ৬মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় পারুল খাতুনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া মামলার অপর আসামী পারুল খাতুনের স্বামী সুলতান মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। বাড়ী থেকে পালিয়ে পারুল খাতুন ট্রাক চালক সুলতান মাহমুদকে বিয়ে করে ঘর সংসার করে আসছিল। ওই মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মিন্টু মিয়াকে আসামী করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মোংলা মন্ডল জানান, মামলার পর থেকে মিন্টু মিয়াকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এতে পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তি না থাকায় তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অসহায় পুত্রকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দিতে তিনি প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ সংবাদ