ভয়ঙ্কর খুনি রোবটের ভয়ে জাতিসংঘের দ্বারস্থ বিজ্ঞানীরা

রোবটিক্স ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বড় বড় বিজ্ঞানীরা জাতিসংঘের প্রতি লিখিত একটি খোলাচিঠিতে তথাকথিত ‘কিলার রোবটস`-দের বিপদ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন।

যন্ত্রমানবের হাতে খুব শিগগিরই ক্রীতদাস হয়ে উঠবে মানুষ অথবা টার্মিনেটরদের হামলায় শেষ হয়ে যাবে মানবজাতি। গল্প নয়, এমনটাই মনে করছেন বড় বড় বিজ্ঞানীরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে এবার মরণ রোবটের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ‘খুনি রোবট’ তৈরি করার প্রযুক্তি। ফলে খুব শিগগিরই যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যাবে ভয়ানক যন্ত্রমানবদের। দয়ামায়ার বালাই নেই। নেই কোনো অনুভূতি। ওই যন্ত্র সৈনিকরা নির্দেশ পেলে কাউকেই রক্ষা করবে না। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠলে সৃষ্টিকর্তার বিনাশও ডেকে আনতে পারে তারা। এমনটাই জানিয়েছেন ‘রোবোটিক্স’ গবেষকরা। তাই এই মরণ প্রযুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি নিয়ে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মেলবোর্ন শহরে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বা (এআই) নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে ১৯৬৯ সাল থেকে শুরু হয় ওই সভা। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিষয়ক শীর্ষ সংস্থার কর্ণধাররা।

এবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত এআই বিশেষজ্ঞ টবি ওয়ালশ, টেসলা সংস্থার এলন মাস্ক ও চীনের ‘উবটেক’ প্রধান জেমস চাওসহ অনেকেই। খুনি রোবটের থেকে আসা মারাত্মক পরিণতি ঠেকাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। রাসায়নিক ও জৈবিক হাতিয়ারের মতোই নিষিদ্ধ করা হোক ‘মরণ রোবট’ নির্মাণের প্রযুক্তিও। রাষ্ট্রসংঘের কাছে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা।

মেলবোর্নের অনুষ্ঠানে এই মারণ প্রযুক্তির ভয়ঙ্কর ব্যবহারে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন এআই বিশেষজ্ঞ টবি ওয়ালশ। তিনি জানিয়েছেন, জঙ্গিদের হাতে ‘খুনি রোবট’ বানানোর প্রযুক্তি পড়লে পরিণাম হবে ভয়ঙ্কর। এছাড়াও আমেরিকা-রাশিয়ার মতো দেশগুলির মধ্যে যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা চলছে তা চরম আকার ধারণ করবে। যুদ্ধে ওই অস্ত্রের প্রয়োগ হলে তা মানবজাতির বিনাশ ডেকে আনবে। যাই হোক না কেন, চলচ্চিত্রের টার্মিনেটরের দেওয়া সতর্কবার্তা যে কতটা সত্য তা স্পষ্ট। প্রযুক্তির দৌড়ে কি মানুষ বিনাশের পথে হাঁটছে? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে বা হয়তো ‘টার্মিনেটর’।

সর্বশেষ সংবাদ