২৫ পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক বাজারে অস্থিতিশীলতার শঙ্কা

এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৫টি খাদ্যপণ্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ১৯টি দেশ। ফলে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার আরো অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এতে অস্বাভাবিক মাত্রায় পৌঁছাতে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ডলারের দাম। তার ওপর, বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিভিন্ন দেশে কমেছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। এই দুই সংকট সামলাতে অর্থনীতির লাগাম টানার চেষ্টায় অনেক দেশ। বিশ্বে খাদ্য রপ্তানি সীমাবদ্ধতা নিরীক্ষণে কাজ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা, ফুড এন্ড ফার্টিলাইজার এক্সপোর্ট রেস্ট্রিকশন ট্রেকার। তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ১৯টি দেশ। নিষেধাজ্ঞা জারি করা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, মিয়ানমার, আলজেরিয়া, মরক্কো, রাশিয়ার মতো বৃহৎ খাদ্য উৎপাদক দেশ। আর, নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে চাল, গম, পেঁয়াজসহ মোট ২৫টি খাদ্যপণ্য। এরমধ্যেও ভারত চাল, রাশিয়া চাল ও চালের মুড়ি, মিয়ানমার চাল, মরক্কো টমেটো, পেঁয়াজ ও আলু, তিউনিসিয়া ফল ও সবজি, আলজেরিয়া গম ডেরাইভেটিভস, উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি, আফগানিস্তান গম, আর্জেন্টিনা গরুর মাংস এবং বেলারুশ দিয়েছে আপেল, বাঁধাকপি ও পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও আরো ১০টি দেশ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আবার, নিষেধাজ্ঞা না দিলেও রপ্তানিতে বাড়তি কর আরোপ করেছে আরো কয়েকটি দেশ। ফলে, সেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এতে বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের দামও। খাদ্য উৎপাদক দেশগুলোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নিত্যপণ্যের বাজার আরো অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

সর্বশেষ সংবাদ