তিস্তার পানি কমায় ভাঙ্গন শুরু, দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসী

মোঃ ফয়সাল আহমেদ, প্রতিনিধি, ডিমলা (নীলফামারী) :  উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলায় গত কয়েকদিনের চেয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমেছে। তিস্তার পানি কমায় শুরু হয়েছে ভাঙ্গন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন চরবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে শতশত বিঘা জমি ও ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বন্যার পর তিস্তা পাড়ের মানুষের নতুন দুর্ভোগ নদী ভাঙ্গন। তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, আবাদি জমিসহ নানা স্থাপনা। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপা খড়িবাড়ী, চর খড়িবাড়ী, কিসামত ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, ছোটখাতা বাইশপুকুরে খর শ্রোতা  তিস্তার ভাঙ্গনে অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছে।

উপজেলার দোহলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহারুল ইসলাম বলেন , তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে জমি সহ বসবাড়ী নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তিস্তার তীরে বন্যা ও ভাঙনের হাত থেকে বাঁচতে তিস্তা খনন করে স্থায়ী বাঁধ নির্মান করতে সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
ছোটখাতা গ্রামের নদী ভাঙ্গনের শিকার মজিনুর রহমান বলেন, এবারের নদীর ভাঙ্গনে মাথা গোঁছার ঠাঁই হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে যাই। বাপ দাদার ভিটে হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। কোথায় দাঁড়াবো বুঝতেছিনা।
খগা খড়িবাড়ী ইউ.পি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন্তা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর এভাবে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবাদি জমি ও ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌল্লা বলেন, বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি কমায় বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তিস্তার ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব দিয়ে রোধ করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান আমরা নদী ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছি।

সর্বশেষ সংবাদ