কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান অফিস ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃকুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অথনৈতিক শুমারী ২০১৩ এর পুস্তক প্রকাশনা সেমিনারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার অধিকাংশই উপস্থিত ব্যক্তিদের ভূয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে এবং অনুপস্থিত ব্যক্তিদের উপস্থিত দেখিয়ে জাল স্বাক্ষর করে তাদের সম্মানী আত্মসাত করেন।
উপজেলা এবং জেলা অফিসের আনুঃ ব্যয়ের জন্য সন্দেহ জনক ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করারও অভিযোগ উঠেছে। তিনি তার নিজস্ব পছন্দের বাইরের অনেককে জেলা অফিসে প্রবেশে মৌখিক এমনকি লিখিত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন বলে জানা গেছে। কথায় কথায় তিনি নিজেকে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষ উল্লেখ করে কর্মচারীদের বিভিন্ন হুমকিও দিয়ে থাকেন বলেও একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এই কর্মকর্তার সাথে কোন কর্মচারীর সুসম্পর্ক নেই। সবার মাঝেই এনামুল আতংক বিরাজমান। জেলার সকল ভূক্তভোগী কর্মচারী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫/০৯/২০১৭ রংপুর বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান অফিসে দিন ব্যাপী অভিযোগ সমূহ সরেজমিনে তদন্ত করে তদন্ত পরবর্তী তদন্তকারী কর্মকতা এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তার মধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠকের কারেন। এরপর দুই মাস অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন সমন্ধে কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, অভিযোগের বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অন-লাইনে প্রকাশিত হলে অভিযুক্ত এনামুল হক নিজে কর্মচারী সেজে স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমানিত করার চেষ্টা করছেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, তদন্তকারী কর্মকর্তার গড়িমসি এবং প্রকৃত সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার ফলে কর্মচারীদেরকে হয়রানীমূলক বদলী, মিথ্যা কৈফিয়ত তলবসহ অভিযুক্ত এনামুল হক এর দূর্ব্যবহার ও অনিয়ম পূর্বের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এই অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ বা অন্যত্র বদলী করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব হতে পারে বলে আশংকা রয়েছে অনেকের।
এব্যাপারে জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।

সর্বশেষ সংবাদ