নন্দীগ্রামে পশুর হাটে মানুষের ঢল

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহর এলাকায় মানুষের চলাচল কমলেও উপজেলার সদর ইউনিয়নের বৃহত্তর রণবাঘার পশুর হাট (কোরবানির হাট) চলছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া পশুর হাটে কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে।
কে শোনে কার কথা! ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। মাস্ক ছিল থুতনির নিচে আর পকেটে। হাটের পাশেই চায়ের দোকানে চা’র পাশপাশি চলে ধূমপান। খোলা পরিবেশে বসে খাবার হোটেল। গাদাগাদি করে লোকজনকে খাবার খেতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মুখে মুখে সামাজিক দুরত্ব রাখার কথা বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যায়নি। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহীনি ও বিজিবি মাঠে যৌথ সক্রিয় থাকার নির্দেশনা থাকলেও কঠোরতা লক্ষ্য করা যায়নি। লকডাউনের শুরু থেকে পৌর শহর এলাকা ফাঁকা করতে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে বুঝিয়ে ঘরে ফেরাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। তবে গ্রামের বাজারগুলোতে লকডাউনের কঠোরতা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রণবাঘা হাট চলাকালে দুপুরে থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে চেষ্টা করেন। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখা যায়নি। ছিলনা সেনাবাহীনি ও বিজিবি।
নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে রণবাঘা। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে এই হাট চলে বিকাল পর্যন্ত। স্কুল মাঠে গরু বেচাকেনা এবং পরিত্যক্ত ডাকবাংলোর জায়গায় ছাগলের হাট বসে। পশুর হাটে উপজেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাত বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে। হাটের ইজারাদারকে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ